লকডাউনে ভিন্ন কৌশল,বাইরে তালা ভেতরে চলছে কেনাবেঁচা || খুলনার খবর
খুলনার খবর|| লকডাউনে খুলনা নগরীর প্রায় সব শপিংমল ও বিপণিবিতান বন্ধ থাকলেও ভিন্নচিত্র নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা,আপার যশোর রোড,মজিদ স্মরনী রোড,গল্লামারী, স্টেশন রোড, নতুনবাজার,দৌলতপুর এলাকার বেশ কিছু দোকানের।
এসব এলাকার বেশিরভাগ দোকানে তালা ঝুলিয়ে মালিক-কর্মচারীরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকছেন, এরপর চোখের ইশারায় ক্রেতা বুঝে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বিক্রি শেষে আবার কলাপসিবলে তালা ঝুলাচ্ছেন।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেদারছে চলছে ইলেকট্রনিক্স,ব্যাটারি,সোলার,আইপিএস,জামা-কাপড়, হার্ডওয়ার সামগ্রী, মোবাইল, বইখাতাসহ ফটোস্ট্যাটের কাজ।
লকডাউনের প্রথম দুই দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট কঠোর হলেও নগরীর সব রাস্তায় এখন একদিকে যেমন রিকশা-অটো, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত অসংখ্য গাড়ি, অন্যদিকে মানুষের ঘোরাফেরাও বেড়েছে। ঢিলেঢালা লকডাউন পরিস্থিতির কারণে মানুষ তুচ্ছ অজুহাতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছে। গতকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দোকানের একটি শাটার খোলা, ভিতরে ক্রেতা। কোথাও কলাপসিবলে তালা, অর্ধশাটারের ভিতরে ক্রেতা। আবার কোথাও ক্রেতা ভিতরে ঢুকিয়ে শাটার এবং কলাপসিবলে তালা ঝুলিয়ে মালিক বা কর্মচারী বাইরে দাঁড়িয়ে থাকছেন। বিক্রি সম্পন্ন হলে ভিতর থেকে শাটারে শব্দ শুনলেই তালা খুলে দিচ্ছেন বাইরে অপেক্ষমাণ কর্মচারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িবহর দেখলেই সবাই সাবধান। এমন ব্যবসা যেন নগরীতে এখন ওপেন সিক্রেট।
এদিকে এবারের লকডাউনে নগরীর অধিকাংশ চায়ের দোকান বন্ধ থাকলেও পাড়া-মহল্লা, অলিগলি ও সড়কগুলোতে ওঠতি বয়সী ছেলেদের আড্ডা বা অহেতুক ঘুরাফেরা কমেনি।
খুলনার বটিয়াঘাটা থেকে আসা একজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়,আপার যশোর রোড থেকে কয়েকটি দোকান ঘুরে ব্যাটারি কিনেছেন। দাম একটু বেশি নিলেও দোকান খোলা পাওয়ায় খুশি তিনি।তবে দোকানের নাম জানাতে অনিহা প্রকাশ করেছেন।তিনি জানান,এসব দোকানের শাটার বন্ধ ছিল। বাইরে অপেক্ষমাণ মালিক-কর্মচারীরা তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে আবার তালা ঝুলিয়ে দেন।এই হলো লকডাউনের পরিস্থিতি।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.