Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    ১৫০ বছরের পুরোনো তেঁতুলিয়া মসজিদ সংরক্ষনের দাবী ||খুলনার খবর ২৪



    মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন তালার তেঁতুলিয়া শাহী জামে মসজিদ সংস্কারের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
       
    (মানবতার দিক বিবেচনায় খবরটি হুবুহু প্রচার করলাম।মসজিদটি সংরক্ষনের দাবী আমাদেরও)

    খুলনার খবর ২৪||দীর্ঘ ১০ বছর সংস্কার না হওয়াতে মুসলিম স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন তালার তেঁতুলিয়া শাহী জামে মসজিদের কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম। জুম্মার দিনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদে জায়গা না পেয়ে সড়কে বসেই নামাজ আদায় করে। ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণের নামে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের গাফিলতিতে মসজিদটিতে নামাজ বন্ধের উপক্রম। 

    একটু বৃষ্টি এলেই মসজিদের ভেতরে পানি পড়ে। নেই টয়লেট। ভেঙে পড়ছে মসজিদটির ছাদ ও দেয়াল। একবার তালা ইউএনও, একবার জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। 

    স্থানীয়দের দাবী প্রত্নতত্ব সংরক্ষণ ও সংস্কারের নামে সরকার প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণে বরাদ্দ দেয় তা যায় কোথায়। শুধু তালা তেঁতুলিয়া শাহী জামে মসজিদের নামে বিগত ১০ বছরে সরকারের বরাদ্দের ১০ লক্ষ টাকার ও কোন হদিস নেই। সংস্কার করতে না দেওয়ায় ঐতিহ্য হারাতে বসেছে মসজিদটি।

    আঠারোশ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া শাহী জামে মসজিদ। প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক মসজিদটি স্থানীয়ভাবে মিয়ার মসজিদ হিসেবে পরিচিত। মূল নাম খান বাহাদুর কাজী সালামতউল্লাহ জামে মসজিদ হলেও বর্তমানে এটি তেঁতুলিয়া শাহী জামে মসজিদ নামেই পরিচিত।

    মোগল মুমেন্টস অব বাংলাদেশ’ নামক গ্রন্থ দ্বারা প্রকাশিত হয় মৌলভী কাজী সালামতউল্লাহ খান বাহাদুর তেঁতুলিয়ার একজন জমিদার ছিলেন। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় ব্রিটিশ শাসনামলের ডেপুটি কালেকটর এবং ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।জমিদার কাজী সালামতউল্লাহ আঠারো শতকের দিকে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সাল নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। ১৮১৮/১৮২৫ কিংবা ১৮৫৮/৫৯ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয় বলে বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে। 

    মসজিদের খুব কাছে ‘সালাম মঞ্জিল’টিও সমসাময়িক কালে কাজী সাহেব প্রতিষ্ঠা করেন।মসজিদটি খুলনা-পাইকগাছা সড়কের কোল ঘেঁষে তালা উপজেলা সদরের দুই-তিন কিলোমিটার উত্তরে আঠারো মাইল অভিমুখে আঞ্চলিক সড়কের পাশে এক একর জায়গাজুড়ে অবস্থান করছে। মসজিদের সঙ্গেই প্রায় দুই একর আয়তনের একটি বিশাল পুকুর রয়েছে। মসজিদটিতে রয়েছে ৭টি দরজা। প্রতিটি দরজার উচ্চতা ৯ ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুট। ১০ বর্গফুট বেড়বিশিষ্ট ১২টি পিলারের ওপর মসজিদের ছাদ নির্মিত। চুুনসুরকি ও চিটাগুড়ের গাঁথুনিতে নির্মিত মসজিদটিতে ১৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ৬টি বড় গম্বুজ এবং ৮ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ১৪টি মিনার রয়েছে। এছাড়া ২৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট চার কোণে ৪টি মিনার রয়েছে। 

    ১৯৮৭ খ্র্রিস্টাব্দে মসজিদটি প্রত্নতাত্বিক অধিদফতর তাদের আয়ত্তে নিয়েছে। সেখান থেকেই অবহেলিত রয়েছে মসজিদটি।
    বর্তমানে অযত্নে আর অবহেলায় ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটির সৌন্দর্য নষ্ট হতে বসেছে। ৭টি মিনার ভেঙে পড়ার উপক্রম। মসজিদের বাউন্ডারি এলাকায় বহু অজানা ব্যক্তির কবরের চিহ্ন থাকলেও সেগুলো অরক্ষিত। মসজিদটির ফ্লোরে ও পশ্চিম পাশের দেয়ালের উপরের অংশে ফাটল ধরেছে। সরকারিভাবে মসজিদটি পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে মুসল্লিদের দান খয়রাতের উপর চলছে ইমাম মুয়াজ্জীনের বেতন দেয়ার কাজ।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad