আপন ভাই ও দুই স্বামীর সাথে প্রতারনা করে কোটিপতি জুঁই ||খুলনার খবর ২৪
ভয়ংকর এক চরিত্র তার সুন্দর চেহারার আড়ালে।প্রতারনায় বাদ যায়নি দুই স্বামী ও আপন ভাই।
খুলনার খবর ২৪|| জুঁই দেখতে সুন্দরী। এই সুন্দর চেহারার আড়ালেই লুকিয়ে ছিল ভয়ংকর এক চরিত্র। তার ভয়ংকর আচরন থেকে বাদ যায়নি নিজের আপন ভাই ও দুই স্বামী। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আপন ভাই ও দুই স্বামীর ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
খুলনার খবর ২৪|| জুঁই দেখতে সুন্দরী। এই সুন্দর চেহারার আড়ালেই লুকিয়ে ছিল ভয়ংকর এক চরিত্র। তার ভয়ংকর আচরন থেকে বাদ যায়নি নিজের আপন ভাই ও দুই স্বামী। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আপন ভাই ও দুই স্বামীর ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেন জুঁই এর বড় ভাই মোস্তফা ফয়সাল।মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৩রা সেপ্টেম্বর খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নালিশি মামলার আমলি আদালতে (দৌলতপুর থানা) মামলাটি দায়ের করেন ওই যুবতীর বড় ভাই মোস্তফা ফয়সাল। তিনি নগরীর গোয়ালখালী মেইন রোড এলাকার এসএম বাবর আলীর ছেলে। এছাড়াও মামলায় একাধিক পুরুষের সঙ্গে জুই’র অনৈতিক সম্পর্কের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।
বাদীপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক আদালতে মামলাটি দাখিল করেছেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মো. শাহীদুল ইসলাম মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৫ই অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্যসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারে বাদী মোস্তফা ফয়সাল উল্লেখ করেন, তিনি ২০১২ সালে সরকারিভাবে চাকরি পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। যাওয়ার প্রাক্কালে তার বোন ফারহানা নাসনির জুই বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থ তার নামে প্রেরণ করতে বিভিন্নভাবে ফয়সালকে উৎসাহিত করেন। এমনকি বলেন, ‘বাবা ও মায়ের নামে টাকা পাঠালে তারা সব টাকা খরচ করে ফেলবে, দেশে ফিরে কিছুই পাবে না’। এ ধরনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে তিনি ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার বছরে বিভিন্ন সময়ে ইসলামী ব্যাংক দৌলতপুর শাখায় জুই’র নিজস্ব ব্যাংক হিসেবে ৬০ লাখ টাকা পাঠান। ২০১৬ সালে দেশে ফিরে তিনি জুই’র কাছে নিজের প্রেরিত টাকা ফেরত চান। কিন্তু সে আজকাল করে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারে অশান্তি তৈরি হয়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার আলোচনা হলেও নানা অজুহাতে সে সময় ক্ষেপণ করে। সর্বশেষ গত ৩১শে আগস্ট টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সে রাখেনি। উপরন্ত ঐদিন সে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে।
বাদীপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক আদালতে মামলাটি দাখিল করেছেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মো. শাহীদুল ইসলাম মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৫ই অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্যসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারে বাদী মোস্তফা ফয়সাল উল্লেখ করেন, তিনি ২০১২ সালে সরকারিভাবে চাকরি পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। যাওয়ার প্রাক্কালে তার বোন ফারহানা নাসনির জুই বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থ তার নামে প্রেরণ করতে বিভিন্নভাবে ফয়সালকে উৎসাহিত করেন। এমনকি বলেন, ‘বাবা ও মায়ের নামে টাকা পাঠালে তারা সব টাকা খরচ করে ফেলবে, দেশে ফিরে কিছুই পাবে না’। এ ধরনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে তিনি ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার বছরে বিভিন্ন সময়ে ইসলামী ব্যাংক দৌলতপুর শাখায় জুই’র নিজস্ব ব্যাংক হিসেবে ৬০ লাখ টাকা পাঠান। ২০১৬ সালে দেশে ফিরে তিনি জুই’র কাছে নিজের প্রেরিত টাকা ফেরত চান। কিন্তু সে আজকাল করে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারে অশান্তি তৈরি হয়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার আলোচনা হলেও নানা অজুহাতে সে সময় ক্ষেপণ করে। সর্বশেষ গত ৩১শে আগস্ট টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সে রাখেনি। উপরন্ত ঐদিন সে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, ২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ড প্রবাসী জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ফারহানা নাসরিন জুই’র প্রথম বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই জমি কেনার কথা বলে জুই তার কাছ থেকে তিন দফায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরই মধ্যে সে মো. ইমরান নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী জিয়াউর রহমান আয়ারল্যান্ডেই স্ট্রোকে মারা যান। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ১১ই অক্টোবর ঢাকার ব্যবসায়ী মো. হুমায়ুন কবিরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে জুই। বিয়ের পর তার কাছ থেকে বিভিন্ন মালামাল ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ৮৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আর্থিক বিষয় নিয়ে এক পর্যায়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। বিপুল অংকের এ অর্থ-সম্পদ স্থায়ীভাবে আত্মসাতের উদ্দেশে জুই স্বামী হুমায়ুন কবিরের সাক্ষর জাল করে ২০০৮ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি একটি ভুয়া খোলা তালাকনামা তৈরি করে। ওই ঘটনায় স্বামী হুমায়ুন কবির স্ত্রী ফারহানা নাসরিন জুইসহ কয়েকজনকে আসামি করে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় জুইসহ আসামিরা এক মাস কারাবাস করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। এছাড়া জুই তার স্বামী হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধেও যৌতুক ও নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা এবং হুমায়ুন কবিরও তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন।
বাদী মোস্তফা ফয়সাল অভিযোগ করেন, তার এবং দুই ভগ্নিপতির বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেই ক্ষান্ত হয়নি জুই। সে জহিরুল ইসলাম জনি, সাইফুল ইসলাম সাকিল, সায়মন ও মোস্তাফিজসহ আরো একাধিক পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় সে তাদের বাসায় ডেকে আনে। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে সে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা তো ফেরত দিচ্ছে না। উপরন্তু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে তার ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বরগুনার মিন্নির মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.