Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    সোনালী জুট মিলস কতৃপক্ষের কারসাজিতে উত্তেজনা|| রাসেল এন্টারপ্রাইজকে বাদ ||খুলনার খবর ২৪ ||


    খুলনার খবর ২৪|| খুলনার মীরেরডাঙ্গা শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তিমালিকানাধীন সোনালী জুট মিল কর্তৃপক্ষ এবং সিবিএ মিলে মিলটির বতর্মান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজকে জোর করে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।খবর( দৈনিক নওয়াপাড়া)

    রাসেল এন্টারপ্রাইজের সাথে চুক্তিভঙ্গ করে প্রায়  সাড়ে ৪ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ না করে মিল পরিচালনার দায়িত্ব দেয় নতুন করে পূবরী ট্রেডার্সকে। চুক্তিভঙ্গ করে পাওনা টাকা পরিশোধ না করে জোরপূর্বক মিল থেকে বের করে দেয়ায় বিষয়টি অবহিত করে খানজাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়রী করেছে রাসেল এন্টারপ্রাইজ।

    এছাড়াও শ্রম প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, ও শ্রম পরিচালকের দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে স্বারকলিপি দিয়েছে রাসেল এন্টারপ্রাইজ।

    বর্তমানে মিলটির মালিক বিভিন্ন মামলায় ফেরারী থাকায় মিলের ডিজিএম এবং সিবিএ’ নতুন করে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

     সোনালী জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম ইমদাদুল হক বুলবুল আর্থিক সংকট দেখিয়ে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে চুক্তিতে মিলটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয় মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজকে। কিন্তু মিল চালানোর এক পর্যায়ে রাসেল এন্টারপ্রাইজের ৭৬ লক্ষ টাকা বাকী রেখে মিলটি রশিদ গ্রুপকে দেওয়া হয়। শর্ত দেওয়া হয় রাসেল এন্টারপ্রাইজের বকেয়া টাকা থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫ লাখ টাকা করে পরিশোধ করবে। কিন্তু কয়েক দফা মিল পরিচালনার দায়িত্ব পরিবর্তন করে সর্বশেষ মিলটি বন্ধ হয়ে যায়।

    শুরু হয় শ্রমিক আন্দোলন অসন্তোষ ঠেকাতে এবং মিলটিকে যে কোন উপায়ে চালু রাখতে স্থানীয় এমপি’র নির্দেশক্রমে মিল কর্তৃপক্ষ এবং সিবিএ দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর মিলটি আবারও রাসেল এন্টারপ্রাইজকে পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে।

     তার সাথে চুক্তি থাকে মিল চালাতে ব্যার্থ হলে অথবা তার সাথে করা চুক্তি বাতিল হলে রাসেল এন্টারপ্রাইজকে মিল কর্তৃপক্ষ এবং সিবিএ সকল দেনা-পাওনা পরিশোধ করে ৩ মাস আগে তাকে অবহিত করতে হবে। কিন্তু গত ঈদুল আযহার আগে হঠাৎ করে মিলের ডিজিএম এবং সিবিএ যোগসাজসে কোন নোটিশ ছাড়াই চুক্তি বলবৎ থাকা অবস্থায় রাসেল এন্টারপ্রাইজকে অসহযোগিতা করে মিল থেকে বের করে দিয়ে পূরবী জুট ট্রের্ডিং কে পরিচালনার জন্য নতুন দায়িত্ব দেয়া হলে উত্তেজনার সৃস্টি হয়।

    রাসেল এন্টারপ্রাইজ বিষয়টি অবহিত করে পাওনা টাকার জন্য খানজাহান আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছে (যার নং-২৮৩ তাং ৮/৯/১৯)। এছাড়া তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর এমপিকে স্মারক লিপি দিয়েছে।

     রাসেল এন্টারপ্রাইজের মালিক রাসেল বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে মিল পরিচালনায় আমি কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করি। আমি মিল কর্তৃপক্ষের কাছে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং মিল অভ্যন্তরে ক্রয়কৃত প্রায় ২০ টন পাট রয়েছে যার আনুমানিক মুল্য ২০ লক্ষ টাকা। পাট ব্যাপারীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে পরিশোধ করতে পরিনি। এছাড়া আমি বিভিন্ন পার্টি ও মহাজনের কাছে বিশাল অংকের দেনা করেছি যারা বর্তমানে টাকার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি এমনকি মামলার করার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad