অভিনব বিবাহ ||কনে এলো বরের বাড়িতে||খুলনার খবর ২৪||

খুলনার খবর ২৪|| গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, গানের তালে তালে গাড়ির সামনে কনে বেশে বসে বরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করেছেন এক তরুণী।

পাত্রী চুয়াডাঙ্গার কামারুজ্জামানের মেয়ে খাদিজা আক্তার খুসি। বিয়ের পত্র ছিলেন চৌগাছা গ্রামের আবদুল মাবুদের ছেলে তরিকুল ইসলাম জয়।

বিয়ে প্রসঙ্গে কনের বাবা কামরুজ্জামান বলেন, খুশি আমার ছোট মেয়ে।ছেলে-মেয়েদের সম-অধিকার বাস্তবায়নেই আমরা অভিভাবকরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়েকে ছেলের বাড়িতে এনে বিয়ের আয়োজন করেছি।

কনের অভিমত, এমন আয়োজনে বিয়ে করতে পেরে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত ও খুশি। আমার বিয়ে নতুন স্টাইলে হচ্ছে, আমার অনেক ভালো লাগছে। নারী পুরুষের সমঅধিকারের ক্ষেত্রে কখনো বলা হয়নি যে, একটা ছেলে একটা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে কিন্তু একটা মেয়ে একটা ছেলেকে বিয়ে করতে পারবেনা।তাই আমি নতুন স্টাইলে বিয়ে করেছি এটাই আমার অনেক ভালো লাগছে।

খুশি আরও বলেন, এটা আমার থেকে শুরু হচ্ছে। আশা করবো আস্তে আস্তে এটা চালু হবে।খুশির বর তরিকুল ইসলাম জয়ও বিষয়টাকে দারুণ উপভোগ করেছেন। তিনি বলেন, সাধারণত, ছেলেরাই যায় মেয়ের বাড়িতে বিয়ে করতে কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম হয়েছে, মেয়ে এসেছে ছেলের বাড়িতে বিয়ে করতে। আমার ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, নারী পুরুষের যে সমান অধিকার সেটা এখানে বাস্তবায়ন হয়েছে।

মুলত কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজে অনার্সের ছাত্রী খুশি। আর তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী। তাদের বিয়েটাও হয়েছে মহা ধুমধামে। দুপুরে ৭টি মাইক্রোবাস ও ৩০টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে কনে এসে নামলেন বরের বাড়ির গেটের সামনে। প্রথানুযায়ী ফুল ও মিষ্টি মুখ করিয়ে কনেকে বরণ করেন বর পক্ষ। এর পর শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

বিয়ে প্রসঙ্গে কনের বাবা কামরুজ্জামান বলেন, ছেলে-মেয়েদের সমঅধিকার বাস্তবায়নেই আমরা অভিভাবকরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়েকে ছেলের বাড়িতে এনে বিয়ের আয়োজন করি।