রাজবাড়ি জেলার কালুখালির রাসেল দেওয়ান গ্রেপ্তার ||স্ত্রীকে ধর্ষনের দৃশ্য দেখছিল স্বামী||খুলনার খবর ২৪
খুলনার খবর ২৪|| ফরিদপুরের তালতলা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ আকলিমা আক্তার সোনিয়ার (২৭)। সোনিয়ার বাবার নাম আঃ ওহাব শেখ।সোনিয়ার বাড়ি চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের জমাদার ডাঙ্গী। হত্যার আগে সোনিয়াকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর হত্যা করে রাত ১১টার দিকে তালতলা এলাকায় তার মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
গতকাল বুধবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৮ ফরিদপুরের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার। তিনি বলেন, সোনিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে র্যাব।হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রাসেল দেওয়ান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রাসেলের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী এলাকার পশ্চিম রতনদিয়া গ্রামে।এ সময় গণধর্ষণ ও হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়েছে। রাসেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
রাসেলের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, সোনিয়ার সাবেক স্বামীর সঙ্গে যোগসাজশে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে বর্তমান প্রেমিক।গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার প্রেমিক। দেখা করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় তাকে। প্রথমে তার প্রেমিক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় সাবেক স্বামী মাইক্রোবাসের ভেতর লুকিয়ে দেখছিল। ধর্ষণ শেষে বের হয়ে স্বামী ধর্ষণ করে। এ সময় সোনিয়া চিৎকার দেয়। তখন শহরের অম্বিকাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে মাইক্রোচালক রাসেলের সহায়তায়, প্রেমিক ও সাবেক স্বামী ছুরি দিয়ে মাথার পেছনে কোপ দিয়ে হত্যা করে সোনিয়াকে।হত্যা শেষে মৃতদেহ গাড়িতে নিয়েই তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে। রাত ১১টার দিকে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় সোনিয়ার মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় তারা।বাকি আসামিদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।
ফাঁসি দেওয়া হোক
ReplyDelete