নিখোঁজের ১৬ দিন পর মিললো মাদ্রাসা ছাত্রী কেয়া খাতুনের লাশ||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রী কেয়া খাতুনের (১৫)অর্ধ গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ১৬ দিন পর গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কেয়া স্থানীয় বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং ত্রিলোচনপুর গ্রামের ছানাউল হকের মেয়ে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে কেয়া বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ১ মার্চ কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে তার পরিবার।জানা যায় গত চার মাস আগে কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনসুর আলী মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সাথে কেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কেয়া বাড়িতেই ছিল।চলতি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে কেয়া খাতুন কে তুলে দেওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয়রা বলেন,গতকাল শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে ত্রিলোচনপুর-দাদপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে রাস্তার পাশে একটি কলা বাগানে চুলের ব্যান্ডসহ অন্যান্য জিনিস পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়।পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এরপর পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে কেয়ার পরিবার লাশ সনাক্ত করে।
নিহতের দাদার দাবী,গত ৪ মাস আগে কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সাথে বিয়ে হয় কেয়ার। কিন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গরু ও গাছ বিক্রির ৯০ হাজার টাকা ঘর থেকে নিয়ে নিহত কেয়া পালিয়ে যায়।তার পুতনি হত্যা ঘটনার সাথে ত্রিলোচনপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজিম ও সলেমানের ছেলে মিলন জড়িত আছে। এরা পরিকল্পিত ভাবে কেয়া কে হত্যা করেছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, ওই মাদ্রাসা ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হয়। জিডির পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আজিম নামের একজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে অভিযুক্ত পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.