হিমেল বরকত’র স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা,কবি হিমেল বরকত’র সাহিত্যে বিপন্ন মানুষের কন্ঠস্বর ঠাঁই পেয়েছে
মলবার বিকেল ৫টায় স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহŸায়ক মো. নূর আলম শেখ। স্মরণানুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার। স্মরণনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সুমেল সারাফাত, উন্নয়নকর্মী কাজী এনামুল হক ইনু, কলতান শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক জেম্স শরৎ কর্মকার, প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, কবি হিমেল’র শৈশবের বন্ধু জানে আলম বাবু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, কবি আফরোজা হীরা প্রমূখ। স্মরণানুষ্ঠানে কবি হিমেল বরকত’র লেখা গান পরিবেশন করেন গোলাম মহম্মদ ও প্রশান্ত কুমার রায়। এছাড়া স্মরণানুষ্ঠানে কবি হিমেল বরকত’র কবিতা আবৃত্তি হয়। কবি হিমেল বরকতের বড় ভাই প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। হিমেল বরকত ১৯৯৪ সালে মোংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৬ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তী সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা সিটি কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালে হিমেল বরকতের কর্মজীবন শুরু হয়। ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০১৮ সালের ৫ জুন অধ্যাপক হন। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এখানেই তিনি কর্মরত ছিলেন। হিমেল বরকতের প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো চোখে চৌদিকে (২০০১), দশ মাতৃক দৃশ্যাবলি (২০১৪), গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রান্তস্বর ব্রাত্যভাবনা (২০১৭), সাহিত্য সমালোচক বুদ্ধদেব বসু গবেষণা গ্রন্থ (২০১৩), ছড়ায় ছড়ায় প্রকৃতির বিস্ময়, ছোট গল্প আয়না এবং পেনসিল ও রাবারের গল্প ইত্যাদি। হিমেল বরকত সম্পাদিত গ্রন্থগুলো হলো রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনাবলী (২০০৫), কবি ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতা সমগ্র (২০০৫), চন্দ্রাবতীর রামায়ণ ও প্রাসঙ্গিক পাঠ (২০১২), রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০১২), বাংলাদেশের আদিবাসী কাব্যসংগ্রহ (২০১৩), রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মারকগ্রন্থ (২০১৫) ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর প্রেমের কবিতা নিয়ে অনুকাব্য। এ ছাড়া অপ্রকাশিত রয়েছে হিমেলের বেশ কিছু কবিতার বই ও গান।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.