Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    নড়াইলে এক সন্তানের জননী ধর্ষনের শিকার ||খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪||আপন চাচা কতৃক ধর্ষনের শিকার হয়েছেন নড়াইলে এক সন্তানের জননী। নির্যাতিতা ও তার স্বজনদের অভিযোগ, কুমড়ি গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী রিপন ও ওহিদুল মোল্যা নামের ঐ নারীর বংশীয় দুই চাচা মুখবেঁধে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনায় যাতে মামলা করতে পারে সেজন্য পরিবার পরিজনসহ নির্যাতিতাকে গৃহবন্দী করে রাখে দুর্বৃত্তরা।গত বুুুুুধবার এ ঘটনা ঘটে।


    গত বুধবারের ঐ ঘটনার দুই দিন পর বন্দিদশা থেকে কৌশলে পালিয়ে গত শুক্রবার স্বজনরা নির্যাতিতা নারীকে নড়াইল সদর হাসপাতলে ভর্তি করে। এঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করছেন নির্যাতিতা ও তার পরিবার। লিখিত অভিযোগ না পেলেও ঘটনার সত্যতা পেয়ে অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, স্বামীর সঙ্গে কলহের ফলে বাবার বাড়ি কুমড়ি গ্রামে অবস্থান কারি ঐ নারী গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের পুকুরে হাত-পা ধুতে গেলে একা পেয়ে তার দুই চাচা রিপন ও ওহিদুল তাদের সহকর্মী পার্শবর্তী তালবাড়িয়া গ্রামের জাকির ও নুরুন্নবীর সহযোগিতায় মুখ বেঁধে নির্জনে ধরে নিয়ে ধর্ষন করে। এ সময় বাঁধা দেয়ায় দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে বেধড়ক মারপিট করে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা পরে তাকে ঘটনা ফাস করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দিলেও এ ঘটনায় যাতে মামলা না করতে পারে সেজন্য পরিবার পরিজনসহ নির্যাতিতাকে বাড়ি আটকে রাখে। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গত শুক্রবার স্বজনরা নির্যাতিতাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসার পাশাপাশি তার ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়। আটক থাকার ফলে মামলা করতে বিলম্ব হলেও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা ।

    সদর হাসপাতালের ইর্মাজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার জানান, ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান ভিকটিমের মেডিক্যাল করা হয়েছে । রির্পোট পাওয়া গেলে সঠিক ভাবে বলা যাবে আসলেই তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।

    লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখনও পর্ষন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad