Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    ৬৫ দিন নদিতে মাছ ধরা বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও মানছে না বটিয়াঘাটার জেলেরা-খুলনার খবর

    মহিদুল ইসলাম ( শাহীন) বটিয়াঘাটা|| মৎস্য দপ্তর কতৃক ৬৫ দিন ধরে নদীতে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলায় তা মানা হচ্ছেনা। এছাড়া মৎস্য চাষিনা অথচ তাদের নাম রয়েছে করোনা প্রনোদনায়।

    সুত্রে প্রকাশ,মৎস্য অফিসের কিছু দালালের কারণে সরকারের সে উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। ঐ সকল দালালরা মৎস্য অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলেদের কাছ থেকে গোপনে গোপনে টাকা নিয়ে বিভিন্ন নদীতে মাছের পোনা ধরা অব্যাহৃত রেখেছেন। তার ধারাবাহিকতায় উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ভদ্রা নদীতে অবাধে জেলেরা নেট জাল দিয়ে  মাছ ধরছে।

    গতকাল শুক্রবার (৪জুন) বিকেলে সরজমিনে দেখা যায়, বারোআড়িয়ার নদীতে প্রায় ১০ জন জেলে একই সঙ্গে নদীর মাঝখানে নেটজাল দিয়ে মাছ ধরছে। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সব জায়গায় যোগাযোগ করেই আমরা এই বন্ধের সময় মাছ ধরছি। অন্য দিকে উপজেলার বেশির ভাগ নদীর দৃশ্য প্রায় একই রকম। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে নিয়োজিত অনিমেষ শীল নামক জনৈক ব্যক্তি গত কয়দিন আগে বারোয়াড়িয়া এলাকায় আসে এসময় স্হানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী সাঈদের মাধ্যমে স্হানীয় জেলেদের নিয়ে এক বৈঠকের পর দেনদরবারের মাধ্যমে সরকারি ভাবে বন্ধ থাকার পরেও  আবার মাছধরা শুরু হয়েছে। সুত্রে জানাগেছে, জেলেদের কাছ থেকে উঠানো টাকা ঐ রেনু পোনা ব্যবসায়িসহ মৎস্য অফিসের এসও এবং স্হানীয় প্রশাসনদের ম্যানেজ করে মাছের পোনা ধরা চলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, অনিমেষ ও দেবাশীষ এর মৎস্য দুর্নিতীর কারণে  অত্র এলাকায় মৎস্য দপ্তরের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। শুধু তাই নয় বটিয়াঘাটার মৎস্য কার্ডে স্হান পেয়েছে পাইকগাছা উপজেলার জেলের নাম।অন্যদিকে অনিমেষ এবং দেবাশীষ মিলে মৎস্য দপ্তরের কোন সুযোগ সুবিধা আসলে সুরখালী এলাকায় কিছু বিশেষ বিশেষ ব্যাক্তির বাড়িতে বসে তালিকা করে চলে যায়। এজন্য প্রকৃত মৎস্য চাষিরা বাদ পড়ে যায়। টাকার বিনিময়ে নেট দিয়ে মাছ ধরতে দেওয়ায় উপজেলা মৎস্য সম্পদ রক্ষা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এবিষয় অনিমেষ এবং দেবাশীষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্য দিকে মৎস্য দপ্তর করোনা প্রনোদনার যে টাকা দেওয়া হয়েছে। মাছের কোন ঘের নেই এমন ব্যাক্তিদেরকে ঐ টাকা দেওয়া হয়েছে। কারণ ঐ তালিকা মৎস্য অফিসের দালালরা করে থাকেন। 

    এ ব্যপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল মামুনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুরখালী ইউনিয়নে আমাদের কয়েকজন অস্থায়ী কর্মি আছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad