খুলনায় কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও জনসমাগম কমেনি,প্রশাসনের তৎপরতা বাড়াতে হবে
খুলনার খবর|| করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও রূপসা এই ৪ থানা এলাকায় কঠোর বিধি-নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রথমদিন শুক্রবার (৪ জুন) অতিবাহিত হয়েছে।আজ দ্বিতীয় দিন।
প্রথম দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সকাল থেকে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিকেলের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ব্যাপক জনসমাগম ছিল। সরেজমিনে ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
আজ শনিবার (৫ জুন) কঠোর বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় দিনে স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপদ সুরক্ষা দূরত্ব এবং ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধ তদারকিতে প্রশাসনের তৎপরতা তেমন চোখে পড়ার মত ছিলোনা।সকাল থেকেই নগরীতে স্বাভাবিক দিনের মতই কর্মচঞ্চল ছিলো খুলনা মহানগরী।
যেসব এলাকাতে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে সেসব এলাকাতেই বেশি চলাচলা করেছে সকল প্রকার সিএনজি,মাহেন্দ্রা,মটরসাইকেলসহ ছোট বড় সকল ধরনের যানবাহন।এসব এলাকার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় কোন প্রকার স্বাস্হ্যবিধি মানার বালাই নেই।তিন ফুট দুরুত্ব দুরের কথা কার আগে কে বাজার করবে সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে সবাই।
নগরীর সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষনা দেওয়া হলেও গোপনে চলছে কেনাবেচা।দোকান মালিক- কর্মচারী সকলেই দোকানের সামনে সকাল থেকেই দাড়িয়ে থাকে ক্রেতা আসলে দোকান খুলে পন্য বিক্রি করে।
করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানায় জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ থাকার কথা। কঠোর এ বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি থাকার কথা থাকলেও তেমন কিছুই চোখে পড়লো না।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক গতকাল শুক্রবার নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দান, পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো মোড়, ফেরীঘাট মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, শিববাড়ী মোড়, ময়লাপোতা মোড়, রয়েলের মোড়, সাতরাস্তা মোড়, মজিদ সরণি, শেরে বাংলা রোড, নিউমার্কেট, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, আড়াইশ বেড হাসপাতালের সামনে, বয়রা বাজার, মুজগুন্নি, নতুন রাস্তার মোড়, খালিশপুরের চিত্রালী বাজার ও বিআইডিসি রোডে অভিযান পরিচালনা করে।এসময় বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে ৭০ জনকে ৫৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানাও করেন।
প্রসঙ্গত, বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে-কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনো রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না
বলা হয় এসব শর্তাবলী খুলনা মহানগর ও খুলনা জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলার সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।এবং অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.