Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    সোনাডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর মহিদুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও মুল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার||খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪|| খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন মজিদ সরণি এলাকার মো: মহিদুল ইসলাম হত্যার পর তার লাশ নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন যে যুবক তিনিই এই হত্যার মূল নায়ক। র‌্যাবের তদন্তে বেরিয়ে আসে মহিদুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীই আকাশ নামের ঐ যুবকেরর নাম।

    সেদিন সবার সামনে পরিকল্পনাকারী আকাশ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন। পরদিন রাতে নিহত মহিদুলের ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলার দু’জনকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু এ হত্যার প্রধান আসামী ও মূল পরিকল্পনাকারী ছিল ধরাছোয়ার বাইরে। শেষ পর্যন্ত র‌্যাব-৬এর একটি দল হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদিসহ মামলার প্রধান আসামী সুমন ও মূল পরিকল্পনাকারী আকাশকে গ্রেফতার করে। 

    র‌্যাবের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে মহিদুল হত্যার কারণ। গতকাল  বিকেলে র‌্যাব-৬ এর প্রধান কার্যালয়ে দেয়া এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬এর অধিকনায়ক লে: কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ বলেন, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের কোন একদিন গল্লামারী পার্কের সামনে মহিদুল এবং তার সহযোগীরা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাসুমকে লোহার পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট করেন। এর জের ধরে মাসুম প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সুযোগ খুজঁতে থাকে। ঘটনার ১৫ দিন আগে সুমন, মাসুম, আশিক ও আকাশ মহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সুমন, মাসুম ও আশিকসহ আরো কয়েকজন গল্লামারী তেল পাম্পের আশে-পাশে হত্যার নিমিত্তে অবস্থান নেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিকল্পনাকারী আকাশ মহিদুলকে নিয়ে পায়ে হেটে সোনাডাঙ্গা থানাধীন সার্জিকাল হাসপাতালের কাছে চা এর দোকানের দিকে পৌঁছান। এর কিছুক্ষন পর আকাশ ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। আকাশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর সুমন, মাসুম ও আশিক অতর্কিতভাবে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে মহিদুলকে এলোপাথারী ভাবে কোপাতে থাকেন। এক পর্যায়ে মহিদুল রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় পরে গেলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যান। 

    স্থানীয় লোকজন মহিদুলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। স্থানীয় লোকজনের সাথে তখন এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশও ছিলেন। কিন্তু মহিদুলকে হত্যার ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথেই তার কান্নার আওয়াজ বাড়তে থাকে এবং বারংবার মূর্ছা যান। লাশটি হাসপাতালের পেছনের লাশঘরে নেয়ার পর আকাশের কান্নায় আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে ওঠে। কারও ধারণাই ছিলনা যে, আকাশই এ হত্যার মূল নায়ক।


    এদিকে, ঘটনার পর মাসুম ও সুমন কমিশনারের গলিতে  লালচাঁনের বাসায় রক্তাক্ত জামা পরিবর্তন করে ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি তার বাসায় রেখে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন বলে র‌্যাবের ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার পর থেকে র‌্যাব-৬ এই চাঞ্চল্যকর  হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এরই অংশ হিসেবে এই মামলার প্রধান আসামী সুমনকে ঢাকা হতে এবং মহিদুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ ও সুমনের সহযোগী লালচাঁনকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

     এছাড়াও লালচাঁনের বাসা থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তাক্ত জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়।র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানান, মহিদুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মহিদুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আকাশ। তারই পরিকল্পনা মতে সুমন, মাসুম ও আশিকসহ আরও অনেকে এই হত্যাকান্ড ঘটায়।

    উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামীদেরকে কেএমপির সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad