Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    সাকিব আল হাসানকে ১বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা ||মুল অপরাধী দীপক আগারওয়াল||খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪|| বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।তবে আচরন বিধি নিয়ম মত মেনে চললে তার সাজার মেয়াদ কমতে পারে।গতকাল সাকিব আইসিসির এই শাস্তি মেনে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।যে কারনে তার সাজা ২বছর থেকে কমিয়ে ১বছর করা হয়েছে।তবে সাকিবের আপিল করার সুযোগ তো থাকছেই।আপিল করলে হয়তো আরও ৬মাস কমতে পারে শাস্তির মেয়াদ।
    জানা গেছে, দীপক আগারওয়াল একজন ভারতীয় এবং জুয়াড়ি হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত। সে আইসিসির দু’র্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কালো তালিকাভুক্ত।
    তাই তার টেলিফোন কল রেকর্ড থেকে শুরু করে চালচলন, তার থাকা-খাওয়া সবকিছুর খোঁজখবরও রয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার কাছে। এই জুয়াড়ি তার অ’পকর্মের জন্য আটকও হয়েছেন।
    ২০১৭ সালে তিনি ভারতীয় পুলিশের নিকট গ্রেপ্তার হন।তবে জেল থেকে বেরিয়ে থেমে থাকেননি তিনি। চালিয়ে যান জুয়া। তিনিই সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
    আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তিন দফা দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে কথোপকথন হয় সাকিবের।
    প্রধমে বিপিএল, এরপর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে একাধিকবার এবং সর্বশেষ গত আইপিএল চলাকালে সাকিবের কাছে তথ্য চান ওই জুয়াড়ি।
    এ ধরনের প্রস্তাব পেলে আইসিসিকে জানানো এবং এর অন্যথায় শা’স্তির কথা জানতেন সাকিব। কিন্তু তিনি তা জানাননি আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটকে (এসিইউ)। সাকিবের কাছে কী প্রস্তাব ছিল জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের?
    ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালের নভেম্বরের মাঝামাঝি আগারওয়ালের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদান-প্রদান করেন সাকিব।
    তখন সাকিবের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন আগারওয়াল। সেবার ৪ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বিপিএল। ওই আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেন সাকিব।
    এরপর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় আবার তাদের মধ্যে বার্তা দেওয়া-নেওয়া হয়।
    ১৯ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসেরা হলে সাকিবকে অভিনন্দন জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠান আগারওয়াল। এরপর তিনি সাকিবের উদ্দেশে আরেকটি বার্তা পাঠান- ‘কাজটা কি এখনই হবে, নাকি আমি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?’
    ২৩ জানুয়ারি আগারওয়াল আরেকটি বার্তায় সাকিবকে দলের ভেতরের খবর ফাঁ’স করার জন্য প্রস্তাব দেন। আগারওয়াল লেখেন, ‘এই সিরিজের ব্যাপারে কোনো তথ্য পেতে পারি?’
    এরপর প্রায় তিন মাস সাকিবের আর কোনো খেলা ছিল না। ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্সের হায়দরাবাদের হয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামেন সাকিব।
    সেদিন আগারওয়াল হোয়াটসঅ্যাপে সাকিবের কাছে জানতে চান সানরাইজার্সের একজন নির্দিষ্ট খেলোয়াড় ওই ম্যাচে খেলবেন কি না।
    দলের ভেতরের আরও কিছু খবরও জানতে চান আগারওয়াল। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর আগারওয়াল সাকিবের কাছে তার ডলার অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চান।
    জবাবে সাকিব বলেন, তিনি আগে আগারওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে চান। আগারওয়ালের সঙ্গে তার যেসব বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে তার বেশ কিছু পরে মুছে ফেলেছেন বলে আইসসিকে জানান সাকিব।
    তিনি বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রককে আরও বলেছেন, আগারওয়ালের দেওয়া কোনো প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি। আগারওয়ালের প্রস্তাব অনুযায়ী দলের ভেতরের কোনো তথ্য ফাঁ’স করেননি।
    সাকিব দোষ স্বীকার করায় তার দুই বছরের নি’ষেধাজ্ঞার মধ্যে এক বছর স্থগিত শাস্তি রয়েছে। আগামী এক বছর আর কোনো অ’পরাধ না করলে এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মাঠে নামতে পারবেন।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad