Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    মৃত্যুর ২৩ দিন পর খুলনার ব্যবসায়ীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে আজ ||খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪|| আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর ২৩ দিন পর আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনার ব্যবসায়ী ও বিজিএমইএ’র সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারী এমদাদুল হক লিপনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।

    গতকাল রোববার বিকেলে খুলনার টুটপাড়া কবরস্থান পরিদর্শন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন এ নির্দেশ দেন। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই নাজিমউদ্দিনসহ ৮ জন পুলিশ সদস্য কবরখানায় উপস্থিত ছিলেন।


    উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর নিহতের মা আনোয়ারা আক্তার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশ্ন রাখেন, প্রাথমিকভাবে তাদের জানানো হয় লিপন গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এবং সে নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল। অথচ ডোবা থেকে গাড়ি উদ্ধারের পর লিপনের লাশ গাড়ির পেছনে পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা হলে গাড়িতে থাকা চারজনেরই আহত হবার কথা। অথচ বাকি তিনজনের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এছাড়া পানিতে ডুবে মারা গেলে পেট ফুলে যাবার কথা। কিন্তু লিপনের দেহে তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি মৃত্যুর ১৫/১৬ ঘন্টা পরেও তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। এসব কারণেই তাকে হত্যার বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

    নিহত ব্যবসায়ী লিপনের ভাই এনামুল হক জানান, আদালতের নির্দেশে খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন রোববার বিকেলে কবরস্থানে আসেন। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজের পরামর্শ অনুযায়ী সোমবার সকাল ৮টায় লাশ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেন।


    জানা যায়, বিজিএমইএ’র সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারী এমদাদুল হক লিপন গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিন বন্ধুর সাথে গাড়িতে বেড়াতে বের হন। পরে তার বন্ধুরা পরিবারকে জানায়, লিপন গাড়িসহ রূপগঞ্জ থানার ৩শ ফিট সড়কের পাশে ডোবায় পড়ে পানিতে ডুবে নিহত হয়েছেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয়েছে জানালে তার বন্ধুরা লাশ অন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সে হাসপাতাল থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে- মর্মে সনদ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে নিহত এমদাদুল হক লিপনের মরদেহ খুলনায় এনে টুটপাড়া কবরখানায় দাফন করা হয়। কিন্তু লাশের সাথে নিহতের স্ত্রী রুমানা আক্তার না আসা এবং তিন বন্ধু’র কথায় সন্দেহ হলে পরিবারের পক্ষে নিহতের বড় ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহত লিপনের তিন বন্ধু এহতেশাম কবীর ওরফে জুন, মঞ্জুর মোর্শেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মাসুমকে আসামি করা হয়। এরা সবাই খুলনা সদর ও দৌলতপুরের বাসিন্দা হলেও ঢাকায় ব্যবসা ও চাকরির সঙ্গে জড়িত।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad