খুলনায় ১১হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের ৫টি খুটি উপড়ে পড়েছে||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪|| মহিদুল ইসলাম|| খুলনা মহানগরীর কেডিএ এভিনিউ সড়কের ড্রেন সংস্কার কাজ চলাকালে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধসে পড়েছেছে ১১হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের ৫টি খুঁটি। এর ফলে তাৎক্ষণিক ওই এলাকার ৫ হাজার গ্রাহক দুর্ভোগের মুখে পড়েন।
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪ এর নির্বাহী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ড্রেন উন্নয়ন কাজের কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলোর স্থানে সতর্কতার সাথে কাজ করার জন্য ঠিকাদারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সংস্কার কাজের সময় পরিকল্পনাহীনভাবে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে যত্রতত্র ভাবে মাটি খোঁড়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হল। ঠিকাদার মাটি খুঁড়ে বৈদ্যুতিক পোলের গোড়া বের করে ফেলেছিল। কিন্তু সেখানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখেনি। মাটি খোঁড়ার সাথে বৈদ্যুতিক পোলগুলোর গোড়ায় বালুভর্তি বস্তা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সে পরামর্শ শোনেননি। ফলে এ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলো।
খুঁটির গোড়ার মাটি সরে গিয়ে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ৫টি পড়ে যায়। এর মধ্যে ২টি খুঁটির সাথে একটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কেসিসির ঠিকাদার স্কেভেটর দিয়ে ড্রেন প্রশস্ত করতে গিয়ে খুঁটির পাশের মাটি বেশি সরিয়ে ফেলেছে। খুঁটি সংলগ্ন ২ থেকে ৩ ফিট মাটি না সরাতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্ত তারা তোয়াক্কা করেনি। যে কারণে ১১ হাজার ভোল্টের ৫টি খুঁটি হেলে পড়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৫টি খুঁটি একসাথে হেলে পড়ে। এ অবস্থায় সেখানে কর্মরত শ্রমিক, পথচারীরা এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করে। আর চিৎকার করতে থাকে। যানবাহনের হর্ন ও মানুষের চিৎকারে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই সড়কে যানবাহন চলাচল আগে থেকে বন্ধ থাকার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানান, জলাবদ্ধতা দূর করতে কেসিসি ড্রেন প্রশস্তকরণের কাজ করছে। মেশিন দিয়ে ড্রেন কাটতে গিয়ে অনেক দোকান ও বাড়ির সীমানায় ঢুকে পড়েছে। এর ফলে সীমানা দেওয়াল ও ভবনের সামনের বর্ধিত অংশ, ছোট ছোট দোকান ঘরের সার্টার, সামনের স্লাব, ফুলের বাগানের স্থান ধসে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহানগরীর কেডিএ এভিন্যুর দুই পাশে ড্রেন পুনঃনির্মাণের কাজ ২২ জুলাই শুরু করে কেসিসি। ইতোমধ্যে সড়কটির পশ্চিমপাশের সম্পূর্ণ এবং পূর্বপাশে কিছু অংশের ফুটপাত ও ড্রেন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে ভাঙা ফুটপাত ও ড্রেনের ওপর কাঠ-বাঁশের সিঁড়ি তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.