Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    আবরার হত্যায় জড়িত সন্দেহে ৯জনকে আটক ||খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪||ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নয় জন ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
    ডিবি পুলিশের সূত্র বলছে, আবরার গত শনিবার (৫ অক্টোবর) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।সেই স্ট্যাটাস  একই হলের শিক্ষার্তি ইশতিয়াক মুন্নার নজরে আসে। তিনি সেই খবরটি  বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ দফতর সম্পাদক মোস্তফা রাফি, উপ সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম জিয়ন ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকারকে  জানিয়ে আবরারকে ডেকে আনার নির্দেশ দেন। এরা সবাই ১৬ ও ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দুজন রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবরারকে ডেকে ২০১১ নং কক্ষে নিয়ে যান।

    সেখানে নেওয়ার পর আবরারের কাছ থেকে মোবাইল নেওয়া হয়। তার ফেসবুক মেসেঞ্জার চেক করাসহ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর শুরু হয় মারধর। এর একপর্যায়ে আবরার অচেতন হয়ে পড়লে কোলে করে মুন্নার কক্ষে (২০০৫ নং) নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় অচেতন আবরারকে নিয়ে যান তারা। এরপর হল প্রভোস্ট ও চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসক এসে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।

    এদিকে, নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।

    সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয়ে থাকতে পারে বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদকে। এর ফলেই রক্তক্ষরণ বা পেইনের (ব্যথা) কারণে ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে।
    এর আগে যেখানে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে বেরিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয় ছাত্রকে তারা সনাক্ত করেছেন যাদের মধ্যে ইতিমধ্যে চার জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।এই চার জনের সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা। 
    তারা হলেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান রাসেল। এডিসি আব্দুল বাতেন এদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।এদের মধ্যে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মুহতাসিম ও মেহেদী শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র।
    ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ‘শিবির সন্দেহে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad