বাবার হাতেই শিশু তুহিনের মৃত্যু ||সাথে ছিলো চাচা ও চাচাতো ভাই ||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪|| মুলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হাসানকে তার বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাই মিলে নির্মমভাবে খুন করে।হত্যার সময় শিশুটি নিস্ঠুর বাবার কোলেই ছিল। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে তুহিনের চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ও চাচা নাসির উদ্দিন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, সোলেমান, সালাতুলসহ অনেকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুহিনের বাবা আবদুল বাছিরের শত্রুতা ছিল। সে নিজেও একটি খুনের মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এই মামলার অন্য অভিযুক্তরাও আরও বেশ কিছু মামলার আসামি। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া দুই আসামির স্বীকারোক্তিতে এসব জানা গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, সোলেমান, সালাতুলসহ অনেকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুহিনের বাবা আবদুল বাছিরের শত্রুতা ছিল। সে নিজেও একটি খুনের মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এই মামলার অন্য অভিযুক্তরাও আরও বেশ কিছু মামলার আসামি। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া দুই আসামির স্বীকারোক্তিতে এসব জানা গেছে।’
জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘুমন্ত শিশুটিকে হত্যার সময় সে তার বাবার কোলেই ছিল। তুহিনের বাবা আবদুল বাছির ও চাচা নাসির উদ্দিন শিশুটিকে প্রথম ছুরি দিয়ে আঘাত করে,এরপর জবাই করে তারপর সবাই মিলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। কান কাটে, গোপনাঙ্গ কাটে। রশি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। বাছির, নাসির, জুলহাস, মচ্ছব্বির, শাহরিয়ার সরাসরি জড়িত ছিল পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয়েছে। এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে।
দুটি নাম লেখা ছুরি শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল এগুলো ফরনেসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্টও পরীক্ষা করা হবে।’
দুটি নাম লেখা ছুরি শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল এগুলো ফরনেসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্টও পরীক্ষা করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাতের আঁধারে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.