নড়াইলে সাগর হত্যার দুই আসামি আটক ||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||নড়াইলের সাগর হত্যা রহস্য উন্মোচন ও দুই আসামিকে আটক করেছে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ২৭শে আগস্ট রাতে সাগরকে হত্যা করা হয়। এর পরদিন নড়াইলের ধোপাখোলা গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তপন দাস (২৩) ও মিলন দাস (২০) নামে দুজনকে যশোর পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই) গত শুক্রবার রাতে আটক করে।
নিহত সাগর বুদোই দাসের ছেলে। আর আসামি তপন দাস মৃত কালিপদ দাসের এবং মিলন দাস চিত্তরঞ্জন দাসের ছেলে। তাদের সবার বাড়িই নড়াইলের কুলইতলা গ্রামে। আটক দুই আসামি ও নিহত সাগর পরস্পর বন্ধু ছিল।
সাগর তপনের কাছ থেকে বাকিতে গাঁজা কিনতো। তপন টাকা চাইলে সাগর বলতো টাকা চাইলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেব। এ নিয়ে সাগরের সাথে তপনের বিরোধ হয়।পাশাপাশি নিহত সাগরের ধোপাখোলা গ্রামে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনেক দিন আগে সাগরের প্রেমিকার বড়বোনের সাথে আসামি মিলন দাসেরও সম্পর্ক ছিল। বিষয়টা জানাজানির পর মিলন দাসের সে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। তখন থেকে মিলন দাস মনে মনে তার সাবেক প্রেমিকার ছোট বোন সাগরের প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক করতে চাইত। উল্টোরথের দিন সাগর বন্যার সাথে দেখা করতে নড়াইল রথেরবাজার যাওয়ার সময় মিলন দাসকে সাথে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সাগর মিলনকে না নিয়েই চলে যায়। এতে মিলন ক্ষিপ্ত হয়। এনিয়ে ঐদিন সাগরের বাড়ির পাশে মিলনের সাথে সাগরের কথা কাটাকাটি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মিলন আরো ক্ষিপ্ত হয়। এরপর মিলন বন্ধু তপন দাসের আলোচনা করে সাগরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সুযোগ খুঁজতে থাকে। এবং ২৭শে আগস্ট রাতে মিলনের বন্ধু সুজন সাগরকে মাঠে নিয়ে যায়। এবং দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে রড ও ইট দিয়ে আঘাতের পর গলায় দড়ি পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে তারা সাগরের লাশ ধোপাখোলা গ্রামে সাগরের প্রেমিকার বাড়ির পাশে পাটগাদায় ফেলে কলাগাছ দিয়ে চাপা দিয়ে আসে। পরদিন লাশ উদ্ধারের পর হত্যাকারিরা লাশ দেখতে গিয়ে অনেক কান্নাকাটি করে এবং নিহতের মা বাবাকে সান্তনা দেয়।
এই মামলার তদন্তভার পিবিআই গ্রহণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দ্বৈপায়ন মণ্ডল একদল ফোর্স নিয়ে শুক্রবার রাত দশটায় নড়াইল গোবরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুই আসামিকে আটক করে।গতকাল শনিবার তাদের নড়াইল আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডে জড়িত এই চার আসামির মধ্যে সুজনকে নড়াইল থানা পুলিশ আগেই আটক করে। আর অপর আসামিকে দ্রুতই আটক করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.