পাইকগাছায় কর্মদক্ষতা ও প্রশংসনীয় মানবিক ইউএনও খালিদ হোসেন সিদ্দিকী- খুলনার খবর
মোঃ ফসিয়ার রহমান,পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি /চারদিকে করোনার মহামারী প্রকোপ, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে,পাইকগাছা উপজেলা ব্যাপী ভয়াবহ করোনাভাইরাস মহামারী থেকে মানুষকে সচেতনতামূলক পরামর্শ দিতে, কখনো অভুক্ত, অসচ্ছল পরিবারের দ্বারেদ্বারে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন একজন মানবিক অফিসার, এলাকার মানুষের মুখে মুখে একটি নাম, আমাদের ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
পাইকগাছায় যোগদানের পর থেকে এলাকার মানুষের যে কোন সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এই মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
পাইকগাছা উপজেলা জুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ও সংক্রামণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায়
পাইকগাছা উপজেলাকে সম্পুর্ণ লকডাউনের ঘোষনা দেন খুলনা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার । পাইকগাছা উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনার পর থেকে লকডাউন বাস্তবায়ন করার লক্ষে পাইকগাছা উপজেলার অলিতে-গলিতে ছিলো যার পদচারনা, তিনি হলেন আমাদের মানবিক ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
অপরদিকে পাইকগাছা উপজেলাবাসীদের কাছে বিপদে আপদেও যে নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয়, তিনি হলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী । তবে তিনি কোনো বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতাও নন। তারপরও তাঁর সততা কর্মস্পৃহা দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাঁর স্থান এক অনন্য উচ্চতায়। প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বিসিএস ক্যাডার) হয়েও তিনি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে মিশে, তাদের খুব কাছাকাছি থেকেও সকল কর্মকাণ্ড সফল করা যায়, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কর্মদক্ষতায়, তার সততায়, তার আন্তরিকতা ও সাহসিকতায়। তার এই বন্ধু সুলভ আচারনের কারনে পাইকগাছা উপজেলা বাসীর কাছে হয়ে উঠেছেন একজন মহানুভবতার আইকন।
করোনাকালীন মহা দুর্যোগে শহর থেকে গ্রামে গ্রামে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন মানুষকে সচেতন করতে। ঐ সময় তিনি অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিয়ে হয়েছেন ব্যাপক সমাদৃত।
ভূমিহীন, গৃহহীন ও ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীদের গৃহ নির্মাণ এবং গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখার তদারকির ক্ষেত্রে তাঁর আপোষহীন মনোভাব তাঁকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। তাছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দের মাঝে একাধিক বার ছুটে যেয়ে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর বুঝিয়ে দিয়েছেন। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যারা ঘর পাননি তাদের জন্যও দ্রুত ঘর বরাদ্দের আশ্বাস দেন। একই সময় এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্য উপহার দেন বাইসাইকেল। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সন্তান ছোট্ট শিশুদের কোলে নিয়ে আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট দেখে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন সর্বস্তরের মানুষ।
নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী রয়েছে হাজারো প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি পাইকগাছা যোগদানের পর থেকে তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে মাদকাসক্ত ও মাদক পাচারকারী, মাদক কারবারি, ভূমি দস্যু, অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে আদায় করা হয়েছে জরিমানা, নেওয়া হয় কঠোর আইনি পদক্ষেপ। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে দেওয়া হয় জেল ও জরিমানা। সরকারের অনুকূলে রাজস্ব আদায় হয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আমার উপরে অর্পিত রাষ্ট্রের সকল আদেশ ও দায়িত্ব আমি সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে চলেছি। আমি আমার কর্মজীবনে যেখানেই থাকিনা কেন, সকলের সাথে মিলে মিশে থাকতে চায়। এবং বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারাকে ও একটি ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়তে রাষ্ট্রের দেয়া সকল আদেশ ও নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলতে অঙ্গীকার বদ্ধ।
আমার কর্মজীবন যেখানেই কাটিয়েছি প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগীতা পেয়েছি এবং আগামীতেও পাবো বলে আমি বিশ্বাস করি। সকল প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ সন্মান দেয়ার মালিক, সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে, আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি এই কামায় করি। পাইকগাছা উপজেলাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। উপজেলাবাসী সকল সময় সরকার কর্তৃক ঘোষনা মেনে চলবেন, রাষ্ট্রের সকল কাজে সহযোগীতা করবেন তাহলেই আমরা পাবো একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.