শত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ব্লাড ডোনার যোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে বাঁচাচ্ছেন অন্যের জীবন
মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি// দিন দিনই কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স ভারত-বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ মহামারিতে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এই মহামারির মধ্যেও পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন গণমাধ্যমকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মীসহ জরুরি সেবাদানকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা। অনেকটা নিস্তব্ধ অবস্থার মধ্যেও তাঁরা যেন যুদ্ধে নেমেছেন। শত সমস্যার মধ্যেও তাঁরা বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যেমন চিকিৎসকেরা জীবন বাজি রেখে করোনায় আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা মানুষের কাছে সংবাদ পৌঁছানোর জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন। এ কাজ করতে গিয়ে আক্রান্তও হচ্ছেন অনেকে। ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন কয়েকজন। প্রতিদিনই নতুন করে গণমাধ্যমকর্মী, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ যেন যুদ্ধক্ষেত্রের এক ভয়াল রূপ।
চলমান এই মহামারির মধ্যেও করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি অন্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন ‘চিকিৎসাযোদ্ধা’রা। আবার চিকিৎসাযোদ্ধাদের পাশাপাশি মুমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচাতে সক্রিয় রয়েছেন ব্লাড ডোনার বা রক্তদাতারা। বর্তমান এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরাও যেন হয়ে গেছেন এক একজন ‘যোদ্ধা’। এই দুঃসময়ে বসে নেই এই যোদ্ধারা। প্রয়োজনে তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে। নিজের রক্তের বিনিময়ে বাঁচিয়ে তুলছেন মুমূর্ষু রোগীদের জীবন।
এ অবস্থার মধ্যে Helping hands jashore কাছে ফোন আসে এক হাসপাতালে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কেমোথেরাপি দেওয়ার পর তাঁর রক্তের প্লাটিলেট আশঙ্কাজনকহারে কমতে শুরু করে। তাঁকে রক্তের প্লাটিলেট দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। এক দিন পরপর প্লাটিলেট অথবা রক্ত দিতে হয় তাঁকে। একাধিক সহকর্মী রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। Helping hands jashore সদস্যরা নিজেও একটি পোস্ট দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ৩ বেগ রক্ত দিয়া হয়েছে। রক্তদাতার নাম আব্দুল্লাহ আল নাদিম,সিফাত, খায়রুল আলম সুজন, আরও একাধিক সহকর্মী ব্লাড ডোনারের খোঁজ দেন।
শত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ব্লাড ডোনার এই যোদ্ধারা এভাবে নিজের রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন করোনাকালীন এই মহামারির মধ্যেও।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.