Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    যশোর ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ আলোচিত ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    মো.জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি// যশোর জেলা শহরে পৃথক ৩ টি স্থানে সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত, অভিযান চালিয়ে আলোচিত নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ ২ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তাদের নিকট থেকে ২ (শত) ১০ (দশ) পিচ ইয়াবা, ৮ (শত) গ্রাম গাঁজা এবং নগদ ১ (হাজার) টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করেন ৩ জনকে। গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা।

    গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের সূত্র থেকে জানা গেছে,(ডিবি) পুলিশের এসআই সোলায়মান আক্কাস এবং এসআই লিটন কুমার মন্ডলের সমন্বয়ে একটা চৌকস টিম কোতয়ালী মডেল থানার চাঁচড়া ডাল মিলের সামনে মিলার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মিলার ভাড়াটিয়া যশোরে আলোচিত চিহ্নিত নারী  মাদক ব্যবসায়ী রেখা বেগম (৪৬), কে ১ (শত) ১০ (দশ) পিচ ইয়াবা এবং নগদ ১ (হাজার) টাকাসহ তাকে আটক করেন। আটক রেখা বেগম চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও ও মাদক ব্যবসায়ী বুদ্ধি বুড়ির ছেলের বউ।

    তবে অপর মাদক ব্যবসায়ী স্বামী শহিদুল ইসলাম গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতিতে বুঝতে পেরে সু-কৌশলে পালিয়ে যান। এছাড়া রেখা বেগম যশোর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার লাটিমা কুরিপোল গ্রামের মৃত লালটু শেখের মেয়ে।যশোরের আলোচিত নারী মাদক ব্যবসায়ী রেখাকে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ আটক করেন, যশোর কোতয়ালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুজ্জামান, গ্রেপ্তারের পরে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারের ১০ দিন থাকার পরে সুচতুর রেখার স্বামী মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে ভুল ভাল বুঝিযে সংবাদ সম্মেলন করেন।

    মাদক ব্যবসায়ী ওই সময় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, কারাগারে থাকা রেখা নিরপরাধ। তার প্রথম স্ত্রী শিরিনের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। একাধিক মামলা থাকায় তিনি  আদালত থেকে জামিন নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তাকে না পেয়ে তার পরিবর্তে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রেখাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। পত্রপত্রিকায় এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করায় আদালত ৩০ মার্চ রেখাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।

     জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল পুলিশ শহিদুলের বাড়ি থেকে শিরিনকে হেরোইনসহ আটক করে। এ ঘটনায় শিরিন ও শহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন যশোর কোতয়ালী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কুমকুম নাজমুন নাহার। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে ৮ বছর আগে শিরিন দেশের বাইরে চলে যান। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত শিরিনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। শহিদুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুস সহিদ।

    রেখাকে কারাগারে পাঠানোর পর ২১ মার্চ যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে এই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন আইনজীবী সহিদ। এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিরুজ্জামানকে তলব ও আসামিকে ২৪ মার্চ আদালতে হাজির করতে বলেন বিচারক মোঃ নাজির আহমেদ। ওই দিন শুনানির সময় আইনজীবী সহিদ আদালতে রেখার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট দাখিল করলে আদালত রেখাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাওয়ায় রেখা আবারো পুরোদমে মাদক ব্যবসার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। ২৬ আগস্ট ২০২১ মাদকব্যবসায়ী শহিদুলের প্রথম স্ত্রী যশোরের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী শিরিনা বেগমকে ১ কেজি ৫ (শত) গ্রাম গাঁজা ও নগদ টাকাসহ রায়পাড়ার গড়াওয়ান পট্টি এলাকা থেকে আটক করেন। শিরিনের বিরুদ্ধে ডজনখানেক মাদক মামলা রয়েছে। একপর্যায়ে শিরিনের সতীন আলোচিত অপর মাদক ব্যবসায়ী রেখা ১ (শত) ১০ পিস ইয়াবাসহ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা আটক করেন।

    তবে মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে এক এক সময়ে এক এক ধরনের ছদ্মবেশ ধারণ করে সদর্পে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন। যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে ১ (শত) পিস ইয়াবাসহ আটক মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ মোল্ল্যা (৩৫), নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম এবং এসআই রইচ আহমেদের সমন্বয়ে একটা চৌকস টিম বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া রোডের দয়ারামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগ মোল্যা  এক মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ আটক করেন। আটক সোহাগ মোল্লা বাঘারপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মোল্যার ছেলে। সে এলাকার চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী।যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই শাহিনুর রহমান এবং এএসআই আশরাফুল ইসলাম, এএসআই গৌরাঙ্গ কুমার মন্ডলের সমন্বয়ে একটা চৌকস টিম শার্শা উপজেলার পাড়িয়ারঘোপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রকিব হাসান (২৫), নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে ৮ (শত) গ্রাম গাঁজাসহ আটক করেন। রকিব ওই এলাকার জাহান আলীর ছেলে বলে জানা যায়।যশোরের জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিস ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা যত কৌশলী হোক না কেন? পুলিশের হাতে তাদের ধরা পড়তে হবে।

    আমি মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যশোরের গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নানা কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করছে ও আদালতে সোপর্দ করেছে। কিন্তু বারবার আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে এসব মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে বের হয়ে আবার ও মাদক ব্যবসা নিয়োজিত হচ্ছে। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের জামিনের বিষয়ে আদালতকে আরো সচেতন হতে হবে বলে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad