লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে ১০টি কেন্দ্রের একটিতেও পাশ করেনি নৌকা
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চরকাদিরায় চেয়ারমান নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ (হাতপাখা)। তিনি পেয়েছেন ৪চার হাজার ৭৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩তিন হাজার ৭৯৭। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাগর হয়েছেন তৃতীয়; পেয়েছেন ১এক হাজার ৫১৩ ভোট।
নৌকার প্রার্থী ৭নং ওয়ার্ড শান্তিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পেয়েছেন মাত্র ২২ ভোট। এই কেন্দ্রে তার এজেন্ট আসেনি। নুরুল ইসলাম সাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, এই ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ১০ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ৬ টিতে হাতপাখার খালেদ সাইফুল্লাহ ও ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। চরকাদিরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাগর বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কারণেই আমি হেরে গেছি। তারা ষড়যন্ত্র করে নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
নৌকার এমন পরাজয়ের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘চর কাদিরা ইউনিয়নে নৌকা হারার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ দায়ী। তার এমন মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী’।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল নুরুল আমিন মাস্টার বলেন, নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি। কোনো ক্রুটি ছিলনা। স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী বিদ্রোহীর পক্ষে যাওয়াতে ক্ষতি হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু ও চরকাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিম কুমার দাস শ্রীপদকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।
১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে কমলনগরে ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতায় চর কাদিরা ইউনিয়নে অবাধ সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছে ভোটাররা।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.