উপকূল দিবসে উপকূলের জীবন মান উন্নয়নের দাবি
১২ই নভেম্বর ১৯৭০ সালের এই দিনে প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। নিশ্চিহ্ন হয় বহু পরিবার। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বাবা-মা, ভাই-বোন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াল এ ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করে (বেসরকারী হিসাবে)। ভয়াবহ সেদিনের ৫১ বছর অতিবাহিত হলেও আজও সে দুর্বিসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলের বাসিন্দাদের।
উক্ত দিবসটি পালনে শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম, সুন্দরবন প্রেসক্লাব এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর আহ্বানে উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ সুন্দরবন প্রেসক্লাব চত্তরে মানববন্ধন সহ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ সুন্দরবন প্রেসক্লাব চত্তরে উপকূল দিবস পালন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আঃ হালিম, আরও উপস্থিত ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর রউফ, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিলাল হোসেন, সাংবাদিক আব্দুল্যাহ আল মামুন, মোঃ সাহেব আলী, যুব ফোরামের সদস্য মোঃ আমিনুর রহমান, লিডার্স এর মনিটরিং অফিসার রনজিৎ কুমার মন্ডল ও কৌশিক রায় প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ‘১২ নভেম্বর ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের সব কিছু তছনছ করে দেয়। লিডার্স আয়োজিত উপকূল দিবসে আমাদের আহ্বান থাকবে যাতে ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর রউফ, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিলাল হোসেন, যুব ফোরামের সদস্য মোঃ আমিনুর রহমান প্রমূখ। সকল বক্তাদের দাবী কপ-২৬ এ যেন উপকূলবাসীর এই দুর্ভোগ তুলে ধরে জীবন মান উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.