Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    বাগেরহাটে শীতের শুরুতেই আমন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকে'রা

    অতনু চৌধুরী (রাজু)  বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃবাগেরহাটে চলতি মৌসুমে রোদের প্রভাব না থাকায় সময় মতো আকাশের বৃষ্টির পানি পাওয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এদিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আমন ধান কাট্টে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগেরহাট জেলার কৃষক - কৃষানীরা। 

    তবে মৌসুমের শুরুতেই মহামারি করোনার লকডাউন না থাকায় দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা থেকে বাগেরহাট জেলায় আসতে পারছেন দিনমজুর - শ্রমিকরা। শ্রমিক মিলছে দ্বিগুন ও দ্বিগুন টাকার হিমশিম খেতে  হচ্ছে না কৃষক'কে। গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন বাগেরহাট জেলার কৃষকেরা, শীতের শুরু থেকে আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ত এই জেলার কৃষকে'রা।  এবার শীতের শুরু থেকে  আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জমি থেকে আমন ধানের বাম্পার ফলন নিজ নিজ ঘরে তুলতে সমস্যা হচ্ছে না।


    ভোর হলেই কৃষকে'রা ছুটছেন মাঠের দিকে। ভাটিয়ালী ও ভাওয়াইয়া গানের সুরে - সুরে মনের আনন্দে আমন ধান কাট্টে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগেরহাট জেলার কৃষক'রা। কেউ আবার ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ধান কাট্টে  ও দেখা যাচ্ছে নারী শ্রমিকদের। সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই ধান ঘরে তুলতে চান কৃষকে'রা এদিকে  স্কুল - কলেজ খোলা থাকায় অনেক শিহ্মার্থীই বাবা - মায়ের কাজে সহযোগীতা করতে দেখা যাচ্ছে খুবই কম এমন দৃশ্যও চোখে পদে মাঠজুড়ে।


    কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলার কৃষি অঞ্চলের প্রতিটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯০ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করেছেন চাষিরা।  এ বছর বীজতলার টার্গেট ছিল ৪ হাজার ৯৯৩ হেক্টর।  রোপা আমনের রোপন করা হয়েছে ২০ হাজার ৫৩০ হেক্টর।  এছাড়া বাগেরহাট সদর,  চিতলমারী, ফকিরহাট, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলায় রোপা আমনের বিআর ২২, বিআর ২২ বেশি রোপন করা হয়। এই ৫টি উপজেলায় গত বছর ১৮ হাজার ৯'শত হেক্টর জমিতে বিআর ২২, বিআর ২৩ এব স্থানীয় ধান ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর আবাদ হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর রোগ - বালাই ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় শত ভাগ ফসল চাষের লহ্ম্যে সফল হয়েছে কৃষি বিভাগ।


    এ বিষয়ে কৃষক ইমরান ফকিরের কাছে জানতে চাই তিনি বলেন, এই বছর করোনার কারণে সার ও বীজ উচ্চ মূল্যে ক্রয় করলেও ভালো ফলন পেয়েছি। তবে ৩৬০ টাকার বীজ ৬০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। শুধু বীজ নয় সব কিছু'র বাম বাড়তি থাকায় আমাদের এবার হিমশিম খেতে হয়েছে। সরকার যদি ধানের দাম বাড়তি দেয় তাহলে হয়তো আমাদের লোকসান থেকে বেঁচে যাব। 


    তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার শ্রমিক মজুরি বেশি দিতে হয়েছেন। কারণ হিসেবে জানান করোনার জন্য অন্য জেলা বা উপজেলা র শ্রমিক ধান আবাধের সময় আসতে পারেনি। ৫০০ টাকার শ্রমিক কে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হয়েছেন। তাছাড়া ও হালচাষও বেশি লাগছে।

      তবে প্রতিবছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে তবে সব মিলিয়ে আমরা তেম লাভবান হতে পারব না তবে সরকার ধানের ন্যার্য্য দাম দিলে কিছুটা লোকসান থেকে মুক্তি পাব।


    বাগেরহাট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক বলেন,  কঠোর লকডাউনের মধ্যেও আমন ধানের ব্যাপক ফলনের লহ্ম্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সেবা দিয়ে নিয়মিতভাবে কৃষকদের উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি এবং আমরা সঠিক ও সফল হয়েছি।


    তিনি আরও বলেন,  প্রকৃতি সুন্দর থাকায় এবার আমরা রোপা আমন ফলনে সহ্মম হয়েছি।  এবার একটু দেরি হলেও মাঠ জুড়ে চলছে আমন ধান কাটার প্রতিযোগীতা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিবছরের তুলনায় এ বছর জেলায়  বিপুল ধানের নির্ধারিত লহ্ম্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে  বলে মনে করেন কৃষকে'রা।।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad