Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    নওয়াপাড়ায় সরকারি পাঠ্যবই কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ

    প্রনয় দাস, অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি // শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকালে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ধোপাদী গ্রামের ধোপাদী দপ্তরীপাড়া শহিদুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

    উদ্ধারকৃত বইগুলো অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার মূল ভবনের পাশে একটি এতিমখানার বারান্দায় প্রথম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজী, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম, নৈতিক শিক্ষা, কৃষি শিক্ষাসহ আরো অন্যান্য বিষয়ের বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পাশে একটি ওজন পরিমাপের ডিজিটাল মেশিনও রয়েছে। 

    এলাকাবাসী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখানে রয়েছেন।এসময় উপস্থিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। 


    উদ্ধার করা বইগুলোর মধ্যে ২০১৯ ও ২০ সালের বিভিন্ন শ্রেণির বই রয়েছে। আনুমানিক সাড়ে ১২ মণ ওজন হলেও বইগুলোর প্রকৃত সংখ্যা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। 


    জব্দকৃত বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন বইগুলো ওজন করে একটি নছিমনে ভর্তি করা হচ্ছিল। 


    এসময় এলাকাবাসী প্রতিরোধ করলে নছিমন চালক ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলী বইগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ দপ্তরী বলেন, এই মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ৩০ জন। এখানে এত বই কিভাবে দিয়েছে সরকার। এই চক্রের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। 


    সরকারী বই বিক্রির বিষয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শহিদুল্লাহ, মাদ্রাসার সুপার, সহকারী সুপারসহ সকল শিক্ষকম-লীর মিলিত সিদ্ধান্তে বইগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল। এগুলো শিক্ষার্থীদের পুরাতন বই। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শহিদুল্লাহ মুঠোফোনে জানান, তিনি বই বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না। মেয়ের অসুস্থতার কারণে এলাকার বাইরে রয়েছেন। 


    এ ব্যাপারে শিক্ষকরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক পর্যায়ে তিনি বইগুলো পুরাতন ও ব্যবহৃত বলেও দাবি করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা হবে বলে জানান। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. তালিম হোসেন বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করার কোন বিধান নেই। এটা অপরাধের সামিল। বই বিক্রির সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাত তিনি।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad