বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে সুসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪০তম জন্মজয়ন্তী পালিত
তৎকালীন মুসলিম সমাজে তিনি এক ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী হিসেবে সাহিত্যাঙ্গনে আবির্ভূত হন।তিনি ছিলেন, একাধারে কবি,প্রবন্ধকার, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার ও শিশু সাহিত্যিক। অসমাপ্ত আব্দুল্লাহ উপন্যাসের রচয়ীতা সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। ইমদাদুল হক ছিলেন পিতার একমাত্র সন্তান।
তিনি ১৯০৩ সালে কলকাতার মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর তিনি ১৯০৬ সালে আসামের শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগে উচ্চমান সহকারী পদে চাকুরি করেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। তার ভূগোল শিক্ষার একটি আদর্শ শিক্ষা প্রণালী শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তিনি ভূগোল বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯১১ সালে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ভূগোলের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন তিনি। ১৯১৭ সালে কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ লাভ করেন।১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রথম কর্মধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ পদে তিনি বহাল ছিলেন। ইমদাদুল হক ১৯০৪ সালে খুলনা শহরে মৌলভী আব্দুল মকসুদ সাহেবের জৈষ্ঠ্য কন্যা সামসুন্নেসা খাতুনকে বিয়ে করেন।
কাজী ইমদাদুল হকের ৫ ছেলে কাজী আনারুল হক, কাজী সামছুল হক, কাজী আলাউল হক, কাজী নুরুল হক, কাজী টুকু এবং ২ মেয়ে জেবুন্নেছা ও লতিফুন্নেছা। কাজী ইমদাদুল হকের ছেলে কাজী আনারুল হক তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান ও উদ্ভাবনী প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন বৃটিশ সরকার কাজী ইমদাদুল হককে ১৯১৯ সালে খান সাহেব এবং ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর উপাধীতে ভূষিত করেন। ইমদাদুল হকের স্মরণীয় সাহিত্যকর্ম তার একমাত্র উপন্যাস ‘আব্দুল্লাহ’।
১৯২৬ সালে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ মার্চ মাত্র ৪৪ বছরেরও কম বয়সে তিনি কলকাতায় হেকিমী মতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কাজী ইমদাদুল হককে কলকাতার গোবরা কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.