হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বাড়িতে ফিরে গেলেন রিনা বেগম-খুলনার খবর
মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি// গত মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও যশোর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা পাননি রিনা বেগম। ওয়ার্ড খালি না থাকায় বাইরে খোলা আকাশের নিচেই তাঁকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। অবেশেষে স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, চিকিৎসায় কোনো অবেহেলা করা হয়নি। বরং করোনায় আক্রান্ত জেনে ভয়ে হাসপাতাল থেকে রিনা বেগম পালিয়ে গেছেন।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে আসেন রিনা বেগম। করোনা সন্দেহে জরুরি বিভাগ থেকে তাঁকে আইসোলেশন ইয়েলো জোন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে কোনো জায়গা না থাকায় বাইরে খোলা আকাশের নিচেই অক্সিজেন দিয়ে তাঁকে শুইয়ে রাখা হয়।
এরপর পরদিন বুধবার বেলা একটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে রিনা বেগমকে পাওয়া যায়নি। রিনা বেগমের বিষয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডের অন্যান্য রোগীর স্বজনেরা জানান, গতকাল বিকেলেই রিনা বেগমের দুই ছেলেমেয়ে এসে তাঁকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
রিনা বেগমের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে (ভর্তি ফরমে দেওয়া মুঠোফোন নম্বারর) ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে রিনার স্বামী আবদুল আজিজ অভিযোগ করে বলেছিলেন, রোগী নিয়ে ওয়ার্ডের বাইরে বসে আছি। নার্সদের সঙ্গে কথাই বলা যাচ্ছে না। শুধু অক্সিজেন দিয়েই তাঁরা দায়িত্ব শেষ করেছেন। কোনো চিকিৎসা-ওষুধপত্র নেই। সকালে একজন চিকিৎসক এসে শুধু অক্সিজেন বাড়িয়ে দিয়ে গেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতালে রিনা বেগমের চিকিৎসায় কোনো অবহেলা করা হয়নি। শ্বাসকষ্ট থাকায় ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আইসোলেশন ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় তাৎক্ষণিকভবে তাঁকে ওয়ার্ডের ভেতরে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তাঁকে রেড জোনে নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই রোগী পালিয়ে গেছেন।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.