Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    লোহাগড়া ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরেই যুবলীগ নেতা হত্যা

    মোঃ আলমগীর হোসেন, লোহাগড়া( নড়াইল) নড়াইলের লোহাগড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা পলাশ মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

    এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় ইউপি নির্বাচনের সাম্ভাব্য প্রার্থী, ও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ নেতা সহ ২২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহত পলাশের মা পলি বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে পলাশকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

    নিহত পলাশ (৩০) ঐ গ্রামের খোকন শেখের ছেলে। পলাশ লোহাগড়া বাজারের ফল ব্যাবসায়ী ছিলেন। মামলা সুত্রে জানা গেছে, মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দোয়া মল্লিপুর গ্রামের মোঃ শাহিদুর রহমানকে। তার অন্য ২ ভাই মোঃ শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামও আসামি হয়েছেন। এছাড়া লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব মুসল্লী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২২জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।মামলায় অন্যান্য আসামি রা হলেন, লোহাগড়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী  শেখ রুবেল হোসেন, হিরন মৃধা, হাসান মৃধা, রমজান শেখ, ইমরান শেখ, রুবেল শেখ, মাহফুজ শেখ, হাসান মোল্লা, আরমান ঠাকুর, সবুজ মিনা, অনিক মুসল্লী,  মিঠুন শেখ, অহিদ কাজী, মোঃ আল মামুন ওরফে কালা মামুন, আখিনুর ফকির, কামাল শেখ, মোঃ জিল্লু মিয়া।

    নিহত পলাশের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, শাহিদুর রহমান মল্লিকপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। এ নির্বাচনে তার পক্ষে পলাশকে প্রচারনা চালাতে বলেছিলেন। তার পক্ষে প্রচারনা না চালালে পলাশকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোল্লার সাথে তার রাজনৈতিক রিরোধ হয়। এ নিয়েও তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। নিহত পলাশ আগামীতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন। স্থানীয়রা জানান,  শাহিদুর ও রাশেদ এলাকায় একই পক্ষ। নিহত পলাশ এক সময়ে ওই পক্ষেই ছিলেন। দেড় বছর আগে ওই পক্ষ ত্যাগ করেন। তিনি মল্লিকপুর ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফরিদুজ্জামানের পক্ষে কাজ করছিলেন।

    এ বিষয়ে ফরিদুজ্জামান বলেন, তাদের পক্ষ ত্যাগ করে আমার পক্ষে থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত পলাশের পরিবারের লোকজন জানান, পলাশ লোহাগড়া বাজারে ছিলেন। তাকে ফোন করে চরমল্লিকপুরের রুবেল ওই গ্রামের রমজানের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে তারা খাওয়া দাওয়া করেন। এরপর ওই বাড়ি থেকে বের হলেই তাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।সবাই পালিয়েছেন। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad