যশোর ডিবি পুলিশের অভিযানে গ্রিল কাটা চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য আটক
এসময় গ্রিল কাটা চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাছ থেকে দেড় ভরি চোরাই স্বর্ণালংকার, ৬টি চোরাই মোবাইল ফোন, গ্রীল কাটার সরঞ্জাম, স্বর্ণ সাদৃশ্য বালা ও মাদক দ্রব্য সেবন করার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।গ্রিল কাটা চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন, (১) খোড়কি সার্কিট হাউজ পাড়া এলাকা আইয়ুব হোসেনের পুত্র শাকিল হোসেন (২২), সে এলাকার (মৃত্যু বারিক জোয়ারদারের পুত্র বিল্লালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া), স্থায়ী ঠিকানা-সাং-নইকাঠি, থানা-আশাশুনি, জেলা-সাতক্ষীরা (দাদা বাড়ী কোন ঘর নাই), (২) পুলেরহাট তপসীডাঙ্গা এলাকার সুমন হোসেন (২৭), (৩) চাচড়া রায়পাড়া এলাকার রাসু মিয়ার ছেলে জনি ওরফে খোড়া জনি (২৫),(৪) চাঁচড়া ভাতুরিয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকার আব্দুল করিম গাজীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার (৩০) (৫) ও রুবিনা আক্তারের পিতা আঃ করিম গাজী (৪৫) সে ওই লাকার মৃত আবু তালেব গাজীর পুত্র বলে জানা গেছে।জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপণ কুমার সরকার, গত ২৮ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে যশোর সদর উপজেলার খড়কী বামনপাড়া (কারবালা) এলাকার মৃত্যু কালাচাঁদ মিয়ার পুত্র রেজাউল করিমের বাড়ির ২য় তলার জানালার গ্রীল কেটে অজ্ঞাতনামা চোরেরা গৃহে প্রবেশ করে আলমারী ভেঙ্গে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও ২টি স্যামসাং মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। যার অনুমান বাজার মূল্য ৪ (লাখ) ৬৩ (হাজার) ৫ (শত) টাকা। এ ঘটনায় রেজাউল করিম বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার ২১ অক্টোবরে মামলাটির তদন্তের ভার দেন জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের নিকট। আমি মামলাটি গ্রহণ করে মামলাটির তদন্ত ভার দেয় গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক শাহীনুর রহমানের নিকটে। একপর্যায়ে সে এসআই মফিজুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুলেরহাট, রায়পাড়া, ভাতুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর সিন্ডিকেটের ৫ জন সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে দেড় ভরি চোরাই স্বর্ণালংকার, ৬টি চোরাই মোবাইল ফোন, গ্রীল কাটার সরঞ্জাম, স্বর্ণ সাদৃশ্য বালা ও মাদক দ্রব্য সেবনের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃতদের আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.