Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    রায়পুরের অনুমতি ছাড়াই মাহফিলের নামে চলছে মেলার প্রস্তুতি

    সোহেল হোসেন  লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি// লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই আজিমুশশ্বান ইছালে ছাওয়াব ২ দিন ব্যাপি মাহফিলে নাম দিয়ে মেলার’ নামে প্রস্তুতি চলছে। অনুমোদন না নেয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। আর এই মেলাকে কেন্দ্র করে জমজমাট বাণিজ্য,জুয়া ও অশ্লীলতা দেখানোর আশংকায় গতবছরই এটি বন্ধ করে দিয়েছিলো প্রশাসন। এই বছরও একই কায়দায় প্রস্তুতি নেয়ার অভিযোগে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীমহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওই মেলাটি ৪দিনের জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জ‌নৈক মনির মোল্লা গং বিভিন্ন স্টল বিক্রি করছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই মেলার পক্ষে বিপক্ষে দক্ষিণ চরবংশি মোল্লা হাট এলাকায় সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। উপজেলা দক্ষিণ চরবংশি ইউনিয়নের কালু বেপারীর হাট ৫ এবং ৬ নং ওয়ার্ডের মাঝা মাঝি ফসলি জমির মাঠে এই মেলা আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে শতাধিক মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে।

    মেলা উদযাপন ৮ জনের কমিটির নাম মনির হোসেন মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান, মন্টু পরাজী, ইউপি সদস্য আবুল হোসেন,দিদার মোল্লা রসিদ মোল্লা,ওসমান গণি বেপারী,আমিনুল হক বেপারী,জনস্বার্থে সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে গত বছরের ন্যায় এবারও মেলাটি বন্ধের দাবিতে ইসমাইল বেপারী লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, ডিডি. এন এস আই বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।

    লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রতি বছর ২ দিন ব্যাপি হযরত ক্বারী আলী হাযের আল কাদরী শাজলীর ইছালে সওয়াবের মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থা‌ন্বেষী মহল মেলা আয়োজন করে থাকে। উক্ত মেলাকে কেন্দ্র করে মদ,জুয়ার আসর, অসামাজিক কার্যক্রম, ছেলে মেয়ে অবাধ মেলা মিশা,মারামারি, ঝগড়াঝাটি, বিগত বছরে এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। হাঙ্গামা দাঙ্গার ঘটনার কারনে গত ১০ বছর এ মেলা বন্ধ রয়েছে।মাহফিল চলুক তবে মেলা যেনো কোন প্রকার বসতে না পারে এই জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী।

    এখানে মেলা হলে লটারির নামে জুয়া খেলার কারণে এলাকায় চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ চরবংশির এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। মেলাকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীরা আরো ব্যাপক হারে মাদক আমদানি করবে। এতে করে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার পাশাপাশি কালু বেপারী বাজার প্রতিদিনের কার্যক্রমে ও জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে।

    এছাড়া মেলাতে মধ্যরাত পর্যন্ত হওয়া উচ্চ স্বরের গান বাজনার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার বিপর্যয় ডেকে আনবে। এনিয়ে মেলার আশে পাশের হাজারো অভিভাবক তাদের সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে শংঙ্কায় রয়েছে। এই বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, এই মেলা আয়োজনে আমার কোন মতামত বা অনুম‌তি নেই। যেহেতু মাহফিলকে কেন্দ্র করে মেলা বসছে। সেহেতু মাহফিল এবং মেলার জন্য প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই।

    নাম না প্রকাশের শর্ত‌ে এক জন বলেন, ছোট একটি স্টল থেকে ৬ ছয় হাজার টাকা ভাড়া নেয়া হয় তাহলে বড় বড় স্টল থেকে কত টাকা ভাড়া নিতে পারে মেলার আয়োজক কমিটি। মেলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দেয়ার পরও ফোন রি‌সিভ হয়‌নি 

    পুলিশ সুপার ড.এইচ এম কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে‌ছেন এবং পুলিশ প্রেরণ করে অবৈধ মেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন ।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad