মোংলায় ঠান্ডায় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা ও রোগীর স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সময়ের তুলনায় আউটডোর সাধারণ রোগীর চাপ অনেক বেশি।
এ বিষয়ে জামিলা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে তিনি আমাশয় ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন তাই ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
তবে বয়স্কদের থেকে শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কর্নারে গিয়ে দেখা দেখা যায় রোগীর স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মমতাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আমার দুই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তারা আজ দু'দিন যাবত আমাশয়, সর্দি ও কাশি নিয়ে ভুগছেন।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কর্নারের চিকিৎসক প্রকাশ কুমার দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে শিশু রোগীর চাপ অনেক বেশি সাধারণ সময় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী আসলেও বর্তমান সময়ে ১০০ এর মতো হয়ে গেছে যার বেশির ভাগ শিশু ঠান্ডাজনি রোগ আমাশয়, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের সেবা দিতে আমাদের অনেকটা কষ্ট হচ্ছে। তবে রোগীর স্বজনদের উচিত শীতের সময় বাচ্চাদের বাইরে বের না করা, গরম পানিতে গোসল করানো ও গরোম পানি পান করানো।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.