Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে খুলনায় প্রতিটি সংগঠনের ৫ জনের বেশি শহিদ মিনারে যেতে পারবেনা ||খুলনার খবর২৪

    খুলনার খবর২৪|| মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

    বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় পুষ্পমাল্য অপর্ণের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একসাথে দুই জনের বেশি শহিদ মিনারে গমন করতে পারবেন না। শহিদ মিনারের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ শহিদ মিনার চত্ত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না।

    ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে শহিদ হাদিস পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার মাধ্যমে শহিদ দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সকল বেসরকারি ভবনে সঠিক নিয়মে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথে পতাকা নামানো হবে। ঐদিন সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নগরভবন চত্ত্বরে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে বাদ জোহর বা সুবিধামত সময়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। 

    এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় অমর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বয়রাস্থ বিভাগীয় গণ-গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।শহিদ হাদিস পার্ক এবং খুলনা জাতিসংঘ শিশু পার্কে ঐদিন সন্ধ্যায় খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও একুশের পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

    দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সুবিধামত সময়ে (২০ ফেব্রুয়ারির পূর্বে) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নান্দনিক হাতের লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্কুল-কলেজে স্ব-রচিত ছড়া, কবিতা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি সংক্রান্ত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad