খুলনার খবর২৪|| যশোরে চাকরি দেয়া কথা বলে ডেকে নিয়ে এক নারীকে (২৮) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার মেহগনি বাগানে এ ঘটনা ঘটে।গতকাল রাতেই ভিকটিমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনার শিকার ওই নারী যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, খুলনার ফুলতলা উপজেলার পত্তিপুর গ্রামের রসময় কুণ্ডুর ছেলে মানিক কুণ্ডু, ফুলতলা উপজেলার আলতা গ্রামের নবু খাঁর ছেলে আনোয়ার ও বাগেরহাটের হাসমত আলীর ছেলে রিয়াজুল কাজী।
ভুক্তভোগি ওই নারী জানান, তার পূর্ব পরিচিত খুলনা ডুমুরিয়া এলাকার মানিক চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে গতকাল শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাকে বাসে করে যশোর শহরে নিয়ে আসে। যশোর বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছালে রিয়াজুল ও আনোয়ার নামে আরও দুজনকে মানিক সঙ্গে নেয়। হাশিমপুর গ্যাসফিল্ডে চাকরি দেয়ার কথা বলে এই তিনজন তাকে ইজিবাইকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাতে বাহাদুরপুর এলাকায় নিয়ে যায়।সেখানে বাঁশতলা আবাসিক এলাকায় প্রাচীরঘেরা একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ওই তিনজন তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার দিলে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে ওই তিনজন পালিয়ে যায়।পরে জ্ঞান ফিরলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষণের ঘটনায় একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গাইনি চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। প্রাথমিকভাবে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে পরীক্ষার পর নিশ্চিত করে সবকিছু বলা যাবে। এছাড়াও তার শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর অভিযোগ তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে। ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অভিযোগ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।তিনি আরো জানান,পাঁচ বছর আগে ভিকটিমের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে। তার ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত আনোয়ার ও মানিক সঙ্গে তার ৮/৯ বছর ধরে পরিচয়। আর রিয়াজুলের সঙ্গে দুই বছর ধরে পরিচয় ছিল। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্তরা ভিকটিমের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে।এবং ইতোমধ্যে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকাও হাতিয়েনিয়েছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.