Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    প্রবীন রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ আর নেই||খুলনার খবর২৪

    খুলনার খবর২৪|| সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক প্রবীন রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শোক সাগরে ভাসিয়ে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন না ফেরার দেশে।


    আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে তার জানাজা নামাজে জনতার ঢল নামে। এর আগে তার মরদেহে জেলার সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জানাজা নামাজের আগে তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

    জানাজা নামাজের আগে মরহুমের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক-এমপি, সাতক্ষীরা -৪ আসনের এমপি এসএম জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, সাবেক এমপি ফজলুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রমুখ।এ সময় মোবাইল ফোনে অডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। জানাজা শেষে তাকে সাতক্ষীরার দেবহাটারর পারুলিয়াস্থ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য গত ২৮ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতা জনিতকারণে সাতক্ষীরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।এরপর ১১ জানুয়ারি তার করোনা নেগেটিভ আসে।তবে, শারীরিক নানা জটিলতার কারণে পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।সেখানেই গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ০৫ মিনিটে রাজধানীর ঢাকার স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

    মুনসুর আহমেদ ১৯৪৮ সালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হামিজ উদ্দীন এবং মাতার নাম নাম দেলজান বিবি। সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুল থেকে তিনি এসএসসি পাশ করেন এবং খুলনা কমার্স কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে সাতক্ষীরার গণমানুষের অধিকার ও উন্নয়নে তার অবদান অপরিসীম। তিনি দীর্ঘদিন পারুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান হিসাবে ছিলেন। এরপর তৎকালীন সাতক্ষীরা-০৪ (দেবহাটা-কালিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    এছাড়া তিনি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাতক্ষীরার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।১৯৮০ সালে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মুনসুর আহমেদ। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত টানা ১৯ বছর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।তার মৃত্যুর খবরে সাতক্ষীরায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad