খুলনার খবর২৪||মদ্যপ অবস্থায় রিকসা ভাড়া না দিয়ে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় উত্তেজনাবশত পরিবহন হেলপার মোঃ সাব্বিরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রিকশা চালক হাসান শেখ।গুরুতর জখম অবস্থায় পরিবহন হেলপার সাব্বিরকে গাড়ির ভেতর রেখে পালিয়ে যায় হাসান শেখ।অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাব্বির মারা যায়।
আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর হাকিম সরোয়ার আহমেদ’র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন হাসান শেখ। জবানবন্দীর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সুকান্ত দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শিববাড়ি মোড়ে সোহাগ পরিবহনের গাড়ি রেখে নগরীর বার্মাশিল এলাকায় মদ খেতে যায় সাব্বির। পরে একই রিকসায় গাড়ির কাছে ফিরে এসে ভাড়া না দিয়ে রিকসা চালককে গালাগাল শুরু করে সে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ্য করতে না পারে হেলপারের সঙ্গে রিকসা চালকের হাতাহাতি বেঁধে যায়। একপর্যায়ে রিকসা সিটের নিচ থেকে ছুরি এনে হেলপারকে কুপিয়ে বাসের মধ্যে ফেলে রেখে যায় হাসান শেখ। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাব্বির মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতেই হাসান শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, লাশ উদ্ধারের পর ঘটনা স্থলে আলামত উদ্ধারের সময় পুলিশ হাসানকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরে হাসান নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মর্মে স্বীকারোক্তি দেয়। তার দেখানো মতে মামলার সকল আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী হাসান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি খুঁজতে এসেছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, কেডিএ এভিনিউস্থ হোটেল টাইগার গার্ডেনের বিপরীতে পার্কিং করা সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর যেকোন সময়ে হেলপার সাব্বির শেখ (১৭) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা, ডান হাতের উপরের অংশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করা হয়। এঘটনায় ভিকটিমের পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১৯। নিহত সাব্বির বাগেরহাট জেলার বাখরগঞ্জ বাজারের ধুমকালিপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.