Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    ৪ অক্টোবর থেকে কেসিসির বহুল আলোচিত ইজিবাইকের লাইসেন্স বই বিতরন শুরু||খুলনার খবর২৪

    খুলনার খবর২৪|| খুলনা সিটি কর্পোরেশন আগামী ৪ অক্টোবর থেকে মাস ব্যাপী বহুল আলোচিত ইজিবাইকের লাইসেন্স বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।এবার ৭৮৯৪টি লাইসেন্সন বই বিতরণ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,আগামী ৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় খালিশপুর প্রভাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে ইজিবাইকের লাইসেন্স বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক। ওই দিন ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের ইজিবাইক চালক ও মালিকদের মাঝে লাইসেন্স বই ও স্টীকার বিতরণ করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫ অক্টোবর একই মাঠে ৩নং ওয়ার্ডের লাইসেন্স বিতরণ করা হবে, ৬ অক্টোবর একই মাঠে ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের, ৭ অক্টোবর ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের, ৮ অক্টোবর ৯নং ওয়ার্ডের, ১১ অক্টোবর ১০নং ওয়ার্ডের, ১২ অক্টোবর ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডের, ১৩ অক্টোবর ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের, ১৪ অক্টোবর ১৫ ও ১৬ নং ওয়ার্ডের ইজিবাইক চালক-মালিকদের মাঝে লাইসেন্স বই ও স্টিকার বিতরণ করা হবে একই মাঠে।

    এছাড়া ১৮ অক্টোবর ১৭নং ওয়ার্ডের লাইসেন্স বই বয়রা বিভাগীয় কমিশনারের অফিস মাঠে বিতরণ করা হবে।একই মাঠে ১৯ অক্টোবর ১৮নং ওয়ার্ডের, ২০ অক্টোবর ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ডের, ২১ অক্টোবর ২১নং ওয়ার্ডের, ২২ অক্টোবর ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ডের, ২৫ অক্টোবর ২৪নং ওয়ার্ডের, ২৭ অক্টোবর ২৫নং ওয়ার্ডের, ২৮ অক্টোবর ২৬নং ওয়ার্ডের, ২৯ অক্টোবর ২৭ ও ২৮নং ওয়ার্ডের লাইসেন্স বই বিতরণ করা হবে। একই স্থানে ১ নভেম্বর ২৯নং ওয়ার্ড ও লাইসেন্স নং ৭৮২১ হতে ৭৯৭৮ পর্যন্ত লাইসেন্স বই বিতরণ করা হবে। একই মাঠে ২ নভেম্বর ৩০নং ওয়ার্ডের, ৩ নভেম্বর ৩১নং ওয়ার্ডের লাইসেন্স বই বিতরণ করা হবে।

    এছাড়া ৪ নভেম্বর হারিয়ে যাওয়া লাইসেন্স বই জিডি মূলে বিতরণ করা হবে। লাইসেন্স গ্রহণের সময় ইজিবাইক চালক বা মালিককে লাইসেন্স প্রাপ্তির সময় মূল আইডি কার্ড, দু’ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি, পে অর্ডারের জমা মূল কপি সাথে আনতে হবে। ফিটনেস থাকা ইজিবাইকসহ নির্ধারিত দিন ইজিবাইক চালককে মাঠে থাকতে হবে। 

    দীর্ঘ চার বছর পর নগরীতে ইজিবাইক চলাচলের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হচ্ছে অক্টোবরে। এমনই খবর ইজিবাইক চালকদো মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ। এতে করে তারা যেমন বৈধ ইজিবাইকের মালিক হবেন তেমনি পুলিশ হয়রানি থেকে হবেন মুক্ত। বন্ধ হবে নগরীতে বহিরাগত ইজিবাইক প্রবেশ কার্যক্রম।

    এছাড়া নগরীতে মাইকিং করে ইজিবাইক চালক-মালিকদের জানানো হচ্ছে, কেসিসির সিদ্ধান্তের বিষয়, তা হলো-সকল ইজিবাইকের কেসিসির নির্ধারিত একই রঙ করতে হবে (ইজিবাইকের রঙ গাঢ় সবুজ ও উপরে লাল রঙ হবে)। গাড়ির ডান পাশের প্রবেশ পথ দু’টি রড দ্বারা বন্ধ করতে হবে। এসব কাজ ইজিবাইক চালক-মালিকরা নিজ দায়িত্বে করবেন। তবে তা লাইসেন্স দেয়ার পূর্বেই করতে হবে। এ ঘোষণা যে মানবে না তাকে কেসিসি লাইসেন্স দিবে না। এতে করে যারা লাইসেন্সের আওতায় আসছেন তারা লাইসেন্স পাওয়ার পর পাঁচজনের বেশি যাত্রী বহন করতে পারবেন না।

    উল্লেখ্য, নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও যানজট নিরসনে ২০১৬ সালে তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার ইজিবাইকের লাইসেন্সের ব্যাপারে সভার আহ্বান করেন। সভায় নগরীতে ইজিবাইকের সংখ্যা ৫ হাজারে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। ওই আলোকে ৫ হাজার ইজিবাইকের চলাচলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় কেসিসি। তবে পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে কেসিসি সরে আসে। কিন্তু ওই ইজিবাইক মালিককে অবশ্যই মহানগরীর স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৫ মে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৬ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫শ’ টাকা মূল্যের ফরমে আবেদন জমা নেয়া হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে লাইসেন্স প্রদানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad