Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    মেহেরপুরের গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ||খুলনার খবর২৪খবর২৪

    ছবি-সংগৃহিত
    খুলনার খবর২৪||মেহেরপুর গাংনীর মহিষাখোলা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী আফরোজা খাতুন (২৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।মুলত টাকা লেনদেনের সম্পর্ক ধরে ব্ল্যাকমেইল থেকে রক্ষা পেতে হত্যাাকান্ড সংগঠিত হয়।

    নিহত আফরোজার প্রতিবেশী মোনায়েম হোসেন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে জানায় পুলিশ।
    গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে প্রতিবেশী  মোনায়েম। নিহত আফরোজার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো।

    গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে সন্দেহভাজন হিসেবে মোনায়েমকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে সে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
    আফরোজা হত্যা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম বলেন, আফরোজার স্বামী বিদেশে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী মোনায়েমের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় আফরোজা। এর জের ধরে দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে আফরোজা মোনায়েমের থেকে টাকা ধার নিত। সাম্প্রতি ৪৫ হাজার টাকা ধার চায় আফরোজা। টাকা দিতে মোনায়েম অপারগতা জানালে আফরোজা তাকে ধর্ষণের মামলার ভয় দেখায়। এভাবে কয়েকদিন ভয় দেখানোর পর মোনায়েম তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়। টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আফরোজাকে বাড়ির পাশের তুলাক্ষেতে আসার প্রস্তাব দেয় মোনায়েম। সেখানে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক দড়ি দিয়ে আফরোজার গলায় পেঁচিয়ে ধরে তাকে হত্যা হয়। পরে তাকে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।

    মোনায়েম হত্যাকাণ্ডের এই রোমহর্ষক বর্ণনা মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেয়। বিজ্ঞ আদালত ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad