নারায়নগন্ঞ্জের ইমামের খুনি গ্রেপ্তার ||খুলনার খবর ২৪
নারায়নগন্ঞ্জের সোনারগাঁও এর মসজিদের ইমামের হত্যাকারী গ্রেপ্তার।আটক ১
খুলনার খবর ২৪|| নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করা হয় ২২ আগস্ট। হত্যাকান্ডের পর মামলাটি ক্লুলেস থাকলেও এর কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত আর্থিক লেনদেনের কারণেই তাকে হত্যা করেছে বন্ধু ওহিদুর জামান (৩০)।গত ২৮ আগস্ট বুধবার ভোরে তাকে মাদারিপুরের শিবচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের একটি দল।গ্রেফতার ওহিদুজ্জামান ওরফে টুকু নড়াইলের কলাবাড়ীয়া পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
তথ্যমতে জানা গেছে, মূলত আর্থিক লেনদেন নিয়েই হত্যাকান্ডের শিকার হন দিদারুল। তার সাথে বিভিন্ন ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আর্থিক লেনদেন হয় তার বন্ধুর। পরবর্তীতে দিদারুল জানতে পারে যে ব্যবসা তার বন্ধু করতে চায় এসব ব্যবসা বৈধ নয় এবং তাই সে ব্যবসা থেকে সরে আসতে চায় এবং তার বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে দেয়া টাকা সে ফেরত চায়। এতেই তাকে হত্যা করতে পরিকল্পনা সাজায় বন্ধু আসামী ওয়াহিদুজ্জামা ওরফে টুকু।
হত্যাকান্ডের আগের দিনও দিদারুলের সাথে দেখা করে তার সাথে চা খায় দুজনে । পরে হত্যাকান্ডের দিন এশার নামাজের পর রাতের খাবার প্রস্তুত করার সময় দিদারুলকে কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো হয়। এতেই দিদারুল অচেতন হয়ে পড়েন এবং তার সেই রাতেই তাকে হত্যা করা হয়।এবং লাশের পাশে একটি চিঠি লিখে রেখে যায়।তদন্তের স্বার্থে এতোদিন গোপন করেছিল পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানান, নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল মসজিদের আগের ইমাম চলে যাওয়ায় ২৬ জুলাই পাশের ছোট কাজিরগাঁও মসজিদের ইমাম দিদারুল এখানে নিয়োগ পান। এই মসজিদে জুমার নামাজ পড়িয়ে তিনি প্রশিক্ষণের কথা বলে ছুটি নেন।
২১ আগস্ট বিকেলে ছুটি থেকে ফিরে আবার নামাজ পড়ান তিনি। পরদিন ভোরে মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায় করতে এসে ইমাম না আসায় তার রুমে গিয়ে ইমামের মরদেহ দেখতে পান। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.