Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    ময়লাপোতা থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত চারলেন সড়কের নির্মান জানুয়ারি থেকে||খুলনার খবর২৪


    ময়লাপোতা থেকে জিরো পয়েন্ট চারলেন সড়কের মোট ব্যায় হবে ১০০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
    খুলনার খবর ২৪||অবশেষে একনেকে অনুমোদন পেল খুলনার মানুষের বহু প্রত্যাশিত নগরীর ময়লাপোতা মোড় থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত শের-এ-বাংলা সড়কটি চার লেন প্রকল্প। 
    গতকাল ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক-এর সভায় ১০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চারলেন সড়কের কাজ শুরু হবে।
    প্রতিটি লেন হবে ২৭ ফুট দুই পাশে ড্রেন ও মাঝখানে থাকবে ডিভাইডার।মোট চওড়া হবে ৭২ ফুট।এতে করে বহুতল ভবনগুলো ভাঙ্গতে হচ্ছে না।
    সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, একনেকে কার্যবিবরণী প্রকাশের পর সরকারি আদেশ জারি হবে। এর দুই মাসের মধ্যে দরপত্র প্রকাশ এবং দেড় মাসের মধ্যে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। এতে করে নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সড়কের কাজ শুরু করা যাবে।
    এদিকে একনেকে অনুমোদনের আগে প্রকল্পের বেশকিছু স্থানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে সড়ক, মিডিয়ান ও ফুটপাতের আয়তন ৮২ ফুট থাকলেও সংশোধিত প্রকল্পে সেটি কমিয়ে ৭২ ফুটে আনা হয়েছে। প্রতিটি লেন ২৭ ফুট প্রশস্ত হবে। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাতের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো প্রকল্পে সেটাও বাদ দেওয়া হয়েছে।
    সওজের জরিপে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোট বড় মিলিয়ে ১৪ হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ছোট সড়কে বেশি যানবাহন চলায় ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে যানজট লেগেই থাকে। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছে খুলনার মানুষ।
     এছাড়া কেডিএর মাস্টারপ্লান ও ডিটেইল্ড এরিয়া প্লানে সড়কটি ৪লেনে উন্নীত করার কথা বলা রয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় এতোদিন এর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি যানজট ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প তৈরি করা হয়।
     এরপর দফায় দফায় সেটি সংশোধন করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গতকাল প্রকল্পটি পাশ হলো। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণেই ব্যয় ধরা আছে ১৩ কোটি টাকা।
    প্রকল্প থেকে জানা গেছে, বর্তমান সড়কের দুই পাশেই সড়ক বিভাগের জমি রয়েছে। শুধু তিনটি জায়গায় জমি স্বল্পতা রয়েছে। এর মধ্যে মূল প্রতিবন্ধকতা ছিলো ময়লাপোতা মোড়ের দুটি ৫ তলা ভবন, একটি কবরস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু এলাকা। এছাড়া সড়কের পাশে লাগানো বিদ্যুতের ১৮২টি খুঁটি সরানো নিয়েও জটিলতা ছিলো। এছাড়া গল্লামারীতে পুরাতন সেতু দিয়ে কিভাবে যানবাহন পার হবে-তা নিয়ে নানা সংশয় ছিলো।
    সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সড়কটিতে ১৮২টি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এগুলো সরাতে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারাও সম্মতি দিয়েছেন। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিয়ে গল্লামারী পুরাতন সেতু পরিদর্শন করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, সেতুর মূল কাঠামো ঠিক আছে। এখনও ১৫ বছর সেতুটি ব্যবহার করা হবে। তবে ওপরের রেলিং ও আশপাশে কিছু সংস্কার করা হবে। আর আরেক লেনের জন্য ২০১৬ সালে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
    সড়কের প্রতিটি লেন ধরা হয়েছে ২৭ ফুট। এছাড়া দুই পাশে এক মিটার করে ড্রেন ও ফুটপাত থাকবে। সড়কের মাঝখানে ৫ ফুট চওড়া ডিভাইডার রাখা হবে। সবমিলিয়ে সড়কটি ৭২ ফুটের মতো প্রশস্ত হবে। গল্লামারীতে ময়ূর নদীর ওপর দুটি সেতু দিয়ে দুই লেনের যানবাহন পারাপার হবে।(খবর দৈনিক পূর্বাঞ্চল)

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad