Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    যশোর জেলা আওয়ামীলীগ বাঁচাও দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত-খুলনার খবর

    মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি//অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড ও জামায়াত পরিবারের লোক অন্তরভুক্ত করে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    আজ সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। তারা কমিটি পরিবর্তন করে ত্যাগী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে মূল্যায়ন করে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।


    সৈয়দ মেহেদী হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার অনুপ্রবেশকারীদের দল থেকে বের করে দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। অথচ ৩০ জুলাই ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের অনুমোদিত যশোর জেলা কমিটিতে অনুপ্রবেশকারীরা স্থান পেয়েছেন। কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকেই যশোরে থাকেনা ও জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পর্ক নেই। ১২ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জেলা কমিটিতে উপ-দপ্তর সম্পাদক পদ পাওয়া ওহিদুল ইসলাম তরফদার ও কোষাধ্যক্ষ পদের মঈনুল আলম টুলু জামায়াত পরিবারের লোক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয় সম্পাদক পদ পাওয়া আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে নিয়েছে। সদস্য পদ পাওয়া অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন কোন দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেনি। অমিত কুমার বসু ও দেলোয়ার হোসেন দীপুর বাড়ি যশোরে হলেও থাকেন ঢাকায়। তারা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে কোন দিন ছিল না।

    জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার বন্ধু ও পরিচিত হওয়ায় সদস্য পদ বাগিয়ে নিয়েছেন মশিয়ার রহমান সাগর ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ পারভেজ। এক বড় নেতার বাড়ির কেয়ারটেকার হওয়ায় সদস্য করা হয়েছে আলামুন ইসলাম পিপুলকে। সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস সদস্য হয়েছেন। ভায়রা ভাই শেখ আতিকুর বাবু শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং শ্যালক হুমায়ুন কবির কবু হয়েছেন সহ-সভাপতি। এরমধ্যে শ্যালক আগের কমিটিতে থাকলেও নতুন যুক্ত হয়েছেন ছেলে ও ভায়রা ভাই। 

    সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদ পাওয়া সাইফুদ্দিন সাইফ ১৯৮৭ সালের পর থেকে যশোরে থাকেন না। ঢাকা থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন   আর বিতর্কিত গোলাম মোস্তফাকে করা হয়েছে সদস্য।

    এছাড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে হেরে যাওয়া মেহেদী হাসান মিন্টুকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি করা হয়েছে। একইভাবে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে লুৎফুল কবির বিজু হয়েছেন জেলা কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক। কিন্তু দুই দশক শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা অ্যাডভোকেট আবুল হোসেনের জায়গা হয়নি জেলা কমিটিতে,এভাবে রাজপথের ত্যাগী সাহসী সাবেক ছাত্র, যুব ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কমিটিতে রাখা হয়নি।

    সংবাদ সম্মেলন থেকে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড ও জামায়াত পরিবারের লোকদের বাদ দিয়ে কমিটি পরিবর্তন করার দাবি জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আজাহার হোসেন স্বপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমানসহ সাবেক যুবলীগ, ছাত্রলীগের ১০/১২ জন নেতা

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad