খুলনায় রাসুল সা.কে কটুক্তি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের মিছিল ও সমাবেশ অনুস্ঠিত
মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শূরার সদস্য, নগর সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুফতী আমানুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ মাওঃ ওয়েজকুরুনী।
প্রধান অতিথি বলেন, চাল, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের উধ্বর্গতির ফলে জনজীবন চরম দুবির্ষহ হয়ে উঠছে। পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। তরিতরকারি, ডাল মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া, মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন নাভিশ্বাস উঠেছে।বর্তমান আওয়ামী সরকার বিগত ১ যুগ ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় ধর্ষণ আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে। সরকারের নজিরবিহীন দূর্বৃত্তায়নের রাজনীতি, অঙ্গ সংগঠন বিশেষ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগের আধিপত্যবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ধারাবাহিক অধ্যায়। এভাবে ভোটবিহীন অবৈধ সরকার দেশের মধ্যে এক এক ক্ষমতা দানব সৃষ্টি করে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনগণকে ভোগান্তি ফেলেছে। আর এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন। ফলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। ‘অবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষ জীবনের তাগিদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে’। তিনি সিলেটে পুলিশী হেফাজতে রায়হান হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
প্রধান বক্তা মুফতী আমানুল্লাহ বলেন, আজ আইনের শাসন না থাকার কারনে হযরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়েও কটুক্তি করার সাহস পায়, তিনি অবিলম্বে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিঠুনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন। যার ক্ষমতা আছে সে এক ধরনের বিচারহীনতার সুবিধা ভোগ করে সেই সুবিধা তাকে নানা অপকর্মে প্ররোচিত করে। এর মধ্যে ধর্ষণ একটি। এর জন্য বর্তমান অবক্ষয়গ্রস্ত দলীয় রাজনীতি সবচেয়ে বেশি দায়ী। ক্ষমতার সুবিধা নিতে দলে দুর্বৃত্ত-অপরাধীরা নেতৃত্বের আসন পর্যন্ত বাগিয়ে নেয়। যখনই কারো অপরাধের খবর ফাঁস হয়ে হয়ে যায়, তখন বলা হয়, সে আসলে আমাদের দলের কেউ নয় অথবা অনুপ্রবেশকারী। এটা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। যে রাজনীতি মানুষকে স্বপ্ন দেখাবে, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, মানুষের পাশে থাকবে— তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখন দুর্বৃত্ত হয়ে উঠছে, খুন-ধর্ষণ-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ করছে। আসলে পুরো রাজনীতিই বর্তমানে দুর্বৃত্তকবলিত হয়ে পড়েছে। অপরাধীদের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। যেকারণে মাদক ব্যবসা, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অর্থপাচার, খুন, রাহাজানির অভিযোগে তারা গ্রেফতার হন, ধর্ষণের ঘটনায় আসামি হন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সহ-সভাপতি শেখ জামিল আহমদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আলী আহমদ, ইসলামী আন্দোলন নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মুফতী ইমরান হোসাইন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ আল গালিব, সহ সাংগঠনিক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, জেলা সহ সাংগঠনিক মাওলানা মুজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ডাঃ মাওঃ নাসির উদ্দিন, জেলা প্রচার সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ, নগর সহ প্রচার ফেরদৌস গাজী, জেলা সহ প্রচার এস কে নাজমুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, জেলা দপ্তর মাওলানা আব্দুস সাত্তার হালদার, সহ দপ্তর মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.