Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    পাইকগাছায় হতদরিদ্র ক্যান্সারে আক্রান্ত চম্পা বাঁচতে চায়,সাহায্যের আবেদন সকলের কাছে|| খুলনার খবর

    খুলনার খবর|| মোঃ ফসিয়ার রহমান ||একজন শারিরিক প্রতিবন্ধী। চম্পা বেগম। ৪০ বছর মত বয়স হবে। দরিদ্র পরিবারে জন্ম। বছর পাঁচ হলো বাবা মারা গেছেন। মা-মেয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। জন্ম থেকে সারা শরীরে গুটি গুটি টিউমার। দিন-কে দিন বড় হতে থাকে। দারিদ্রতার কারণে ঠিকমত চিকিৎসা নিতে পারেনি। গলায় মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত অসহায় মেয়েটি অসহ্য যন্ত্রণায় সারা রাত-দিন ছটফট করে। ঘুম নেই দু'চোখে। সে বাঁচতে চাই। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তার করুন আর্তি- আমি বাঁচতে চাই। 

    খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ানের দেবদুয়ার গ্রামের শেখ পাড়ায় মৃত শেখ আরোশ উল্লাহ ও মাতা সালেহা বেগমের বড় মেয়ে। তার জন্ম থেকে সারা শরীরে ছোট ছোট টিউমার দেখা যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার টিউমারগুলো বাড়তে থাকে। বিশেষ করে গত প্রায় ৩০ বছর ধরে তার গলার টিউমার বর্তমানে বিরাট আকার ধারণ করেছে। দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ায় চিকিৎসা সেবার সুযোগ হয়নি। বর্তমানে তার গলায় টিউমার টির ভিতর অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণা বেড়ে গেলে অনেক কষ্টে কিছু টাকা যোগাড় করে প্রাইভেট চেম্বারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন নাক কান গলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখালে তিনি জানান, চম্পার গলায় ক্যান্সার হয়েছে।

    এজন্য আরোও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তিনি ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। যাহা গরিব চম্পার পরিবারের পক্ষে টাকা যোগাড় করে আদৌ চিকিৎসা ব্যয় করা সম্ভবপর নয়। সেজন্য তিনি সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বৃত্তবানদের নিকট মানবিক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি সাহায্য পাঠানোর জন্য তাঁর ভাইপো শেখ তামিম এর বিকাশ নম্বরটি ০১৯৭১৯১৬৪৬৫ ও পাইকগাছার বাঁকা বাজার অগ্রনী ব্যাংক শাখায় তার ভাবির ৩৪১০৪৭১৯ নাং একাউন্ট নাম্বার দিয়েছেন।

    এব্যাপারে প্রতিবেশী শেখ হেলাল উদ্দিন সহ এলাকাবাসী জানান, চম্পা এই অসহায় মেয়েটির সত্যিই দেখার কেউ নাই। মা-মেয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন মতে সংসার চলে। তিনি সরকার ও সমাজের বৃত্তবানদেরকে চম্পা'র পাশে সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করেছেন। চম্পা বেগম জানান, বর্তমানে তার জ্বালা যন্ত্রণা বেড়ে গেছে, ঘুম নাই, খাতি গিলি গিলতে পারিনি, ব্যাথা করে,শুতে গেলি শিরা টান পড়ে,শুতে পারিনে।

    মাতা সালেহা বেগম বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাই। যা আয় হয় সেটা দিয়ে তিনবেলা খেতে পারিনে। ডাক্তার দেখাব কেমন করে। অসুস্থ ও টাকার অভাবে ওকে ঠিকমত চিকিৎসা করতে এমনকি বিয়ে পর্যন্ত দিতে পারিনি। সরকার,প্রশাসন সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য ও সহযোগীতা কামনা করেছেন।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad