Monday, March 17.

Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    ঝিনাইদহে গ্রামীণ প্রাইভেট হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আয়া'র || খুলনার খবর

    খুলনার খবর|| ঝিনাইদহের মহেশপুরের খালিশপুর বাজারে গ্রামীণ প্রাইভেট হাসপাতালের ( মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার) মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার নারী নিজেই বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।


    বাদীর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ‌‘গত দুই বছর আগে খালিশপুরে অবস্থিত গ্রামীণ প্রাইভেট ক্লিনিকে আয়া পদে চাকরিতে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে ক্লিনিক মালিক জুলফিকার আলী চাকরির সুবাদে বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন।আমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে চাকরি ছেড়ে অন্য যায়গায় চলে যাই। এরপর তিনি বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। আমার পরিবার গরিব-অসহায় হওয়ায় অনেক কিছু মুখ বুজে সহ্য করি। একপর্যায়ে আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই।পরে তিনি বিভিন্ন সময় আমাকে ফোন করে তার নিজ প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।শারীরিক সম্পর্কের ফলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। আমার শরীরের গঠন ও পেট উঁচু হওয়ায় ক্লিনিক মালিক জুলফিকারকে সবকিছু খুলে বলি এবং ডাক্তারের কাছে যাই ও আলট্রাসনো রিপোর্টে পেটে বাচ্চা সম্পর্কে নিশ্চিত হই। এই খবর জুলফিকারকে বললে তিনি প্রথমে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হনে যান।পরে তিনি বিভিন্ন কায়দায় আমাকে পেটের বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলতে বলেন। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে ক্লিনিকের অর্ধেক অংশীদারী লিখে দেবেন এবং আমাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। পরে তিনি কোটচাঁদপুর মাহাবুবা ডায়াগস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে কর্মরত নার্স তাসলি বেগমকে বলে আমাকে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাত করিয়ে মৃত বাচ্চা ও ডাক্তারি রিপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।এরপর সাইফুল নামের এক সাংবাদিকের সাহায্য নিয়ে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি হই এবং মহেশপুর থানায় ৭ মার্চ অভিযোগ দায়ের করি।

    এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওসি রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, থানায় একটা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।বাদীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষ না হাওয়া পর্যন্ত মামলার ব্যাপারে বেশি কিছু বলা সম্ভব না।  

    এদিকে বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক মালিক জুলফিকারের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad