Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    ধুলায় অতিষ্ঠ সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি ||খুলনার খবর২৪

    খুলনার খবর২৪||এফ,এম,আজাদ|| খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের বেহাল অবস্থার খবর সবারই জানা।বর্ষা মৌসুমে খানা খন্দ হয়ে ঘটে নানা দুর্ঘটনা। আর শুকনোর সময় হয়। ধুলাবালির জন্ত্রনা।এই দুয়ে মিলে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি।সম্প্রতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তায় ইট বালু দিয়ে কিছুটা ঠিক করা হলোও বিপত্তি বেধেছে ধুলাবালিতে।


    মাঝে বেশ কিছুদিন এই বাইপাস সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকলেও এখন আবার যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে।তার সাথে বেড়েছে ধুলার প্রকোপ।নগরীর ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত চারলেন সড়কের কাজ চলায় সকল যানবাহন এখন সোনাডাঙ্গার বাইপাস সড়কটি ব্যবহার করছে। এতে করে এই এলাকা দিয়ে এখন দিনরাত যানবাহন চলাচলে ধুলায় ধুলায় সড়কের দুই পাশের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। হাজারো শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের ধুলাবালির মধ্য দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।

    ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটির কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় সড়কের মাটি বেরিয়ে এসেছে। এই সড়কটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে পরিনত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে শহরের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,কোর্ট, বাজার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে আসা–যাওয়া করতে হয়। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই পথ দিয়ে হেঁটে চলাচল করেন। জেলার অভ্যন্তরীণ এবং ঢাকা-খুলনা,খুলনা-বরিশাল,খুলনা-মংলা,খুলনা-চট্টগ্রামসহ আঞ্চলিক এই সড়কে ছোট–বড় হাজারো যানবাহন চলাচল করে।

    সড়কের দুই পাশে রয়েছে শতাধিক ছোট–বড় দোকান। এখন শুকনো মৌসুম। যানবাহন চলাচলের সময় প্রচুর ধুলাবালি উড়ে। ধুলায় ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। একসঙ্গে অনেকগুলো গাড়ি যখন স্থান অতিক্রম করছে, ধুলা কুয়াশার মতো গাঢ় হয়ে উড়তে থাকে। দোকানের কাচ, মালামালসহ আসবাবপত্রে ধুলার স্তর জমে গেছে। শিক্ষার্থী, পথচারীদের অনেকেই নাক বন্ধ করে স্থানটি অতিক্রম করছেন। এখানে ধুলা নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই। দু-একটা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে নিজ উদ্যোগে পানি ছিটিয়ে সাময়িক ধুলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু অসংখ্য গাড়ি চলাচল করায় কিছু সময়ের মধ্যেই স্থানটি আবার ধুলায় একাকার হয়ে যাচ্ছে।

    সড়কের পাশের ব্যবসায়ী আজাদ মিয়া গতকাল "খুলনার খবরকে" বলেন, এত ধুলা। ধুলার কারণে দুই দিনে সর্দি হয়ে গেছে। কাছের আরেক ব্যবসায়ী জামাল মিয়া বলেন, শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এ রকম একটি স্থান। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখানে। এখন সব সময় আমাদের ধুলার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ধুলার কারণে সুস্থভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা মুশকিল হয়ে পড়ছে। এখানে যদি দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা হতো, তাহলে হয়তো এত ধুলাবালি হতো না। ধুলার কারণে মানুষ শুধু অতিষ্ঠ নয়, অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

    এ ব্যাপারে এলাকার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি সিটি কর্পোরেশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।প্রতিদিন যেন দুই থেকে তিনবার পানি ছিটানে হয়


    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad