Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    কোন রকম জটিলতা ছাড়াই চলছে খুলনা-মংলা রেলের কাজ

    ছবি সংগৃহীত 

    খুলনার খবরঃ
    কোন রকম  জটিলতা ছাড়াই এগিয়ে চলেছে খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

     বাগেরহাটের চারটি স্টেশনসহ রেল লাইন নির্মাণে প্রায় ১৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ এখনও বাকি রয়েছে। তবে বাগেরহাট অংশে এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এ অংশের প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে ৫টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মংলার দ্বিগরাজ,চুলকাঠি বাজার,ভাগা বাজার,ও কাটাখালি এই ৪টি স্থানে স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। এসব স্টেশনের জন্য এ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হবে। এজন্য জমি প্রয়োজন প্রায় ১২ দশমিক ১৯ একর। এ জমির জন্য বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ ও ৭ ধারা জারি করা হবে।
     এরপর জমি হস্তান্তর করবে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
    ছবি সংগৃহিত

    খুলনা, মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ২০১০-২০১৩ সাল পর্যন্ত। মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৩-২০১৮ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আবার তৃতীয় দফায় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।আশা করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
     এই প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯০৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার অর্থ ছাড় হয়েছে। কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই কাজ এগিয়ে চলেছে।
    প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটির কাজ তিনটি অংশে বিভক্ত। যার একটি রেল সেতু, অপরটি রেল লাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং।
    ছবি সংগৃহীত 

     প্রকল্পের অধীনে লুপ লাইনসহ রেলওয়ে ব্রডগেজ ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইন। আর রূপসা নদীর উপরে নির্মিত হবে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেল সেতু। এছাড়া ৩১টি ছোটখাট ব্রীজ ও ১১২টি কালভার্ট নির্মিত হবে।

    ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন নির্মিত হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন (জিওবি) ও ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় এই রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের রেললাইন তৈরির জন্য ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ইরকন’এর সাথে চুক্তি হয়। আর ব্রীজ তৈরির জন্য ওই বছরের ২৪ আগস্ট ভারতের ‘লারসেন এন্ড ট্যুব্রো’ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয়।
                                                            (সমস্ত তথ্য সংগৃহীত)

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad