খন্ডিত লাশের পরিচয় মিলেছে
খুলনায় মাথা-হাত-পা বিচ্ছিন্ন যুবকের পরিচয় মিলেছে।
খুলনার খবর:
খুলনায় গত বৃহঃপতি বার নগরির বিভিন্নস্হান থেকে উদ্ধারর হওয়া খন্ডিত করে খুন করা অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ শুক্রবারে অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। খুমেক হাসপাতাল মর্গে তার পরিবার লাশ সনাক্ত করে।
বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) ঢাকার একটি টিম নিহত সবুুুুজের আংগুলের ছাপ সংগ্রহ করে তা জাতীয় পরিচয় পত্রের সার্ভারে দিলে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) ঢাকার একটি টিম নিহত সবুুুুজের আংগুলের ছাপ সংগ্রহ করে তা জাতীয় পরিচয় পত্রের সার্ভারে দিলে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
খুন হওয়া যুবকের নাম হাবিবুর রহমান সবুজ (২৬)। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলা সদরের উমরাহ পাড়ায়। বাবার নাম আব্দুল হামিদ। তিনি ইট ভাটার শ্রমিক ঠিকাদার ছিলেন। ৫ মার্চ তিনি খুলনায় আসেন। ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন সবুজের পরিবার।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে খন্ডিত উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। নিহত হাবিবুরের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। তারা মামলা দায়ের করলে মামলা নেওয়া হবে। এছাড়া বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা (সিআইডি), খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, কারা এবং কী কারণে হাবিবুর রহমানকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে- সে বিষয়টি এখনও রহস্যাবৃত রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে খন্ডিত উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। নিহত হাবিবুরের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। তারা মামলা দায়ের করলে মামলা নেওয়া হবে। এছাড়া বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা (সিআইডি), খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, কারা এবং কী কারণে হাবিবুর রহমানকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে- সে বিষয়টি এখনও রহস্যাবৃত রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, সবুজ বেড়ানোর কথা বলে নিজের মোটরসাইকেলে খুলনায় গিয়েছিল। তিন দিন পর তার বস্তাবন্দী খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পিতা আব্দুল হামিদ সরদার জানান, সবুজ ঢাকায় লেখাপড়া করে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছিল সে। মঙ্গলবার সকালে তার মাকে বলে নিজের মোটরসাইকেলে খুলনায় যায়। পরদিন ফিরে আসার কথা বললেও ফেরেনি।
তিনি বলেন, তার ছেলের সাথে খুলনায় কারও সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়। এই মামলায় কিছুদিন আগে তার ছেলে জেলও খেটেছিল। ব্যবসার টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাকে খুলনায় কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর শের-এ বাংলা রোডের বলাকা ক্লাবের বিপরীতে ড্রেনের পাশ থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহের একটি বড় অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মাথা, দুই পা ও দুই হাত ছিল না। পরে দুপুরে ফারাজিপাড়াস্থ সমাজসেবা অফিস সংলগ্ন ড্রেন থেকে আরও দু’টি ব্যাগে থাকা মাথাসহ অন্যান্য অংশ উদ্ধার করা হয়। লোমহর্ষক এ হত্যাকা-ের ঘটনায় নগরজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.