জুলাই মাস থেকে দেশের ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামুল্যে খাবার
দেশের সকল উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রান্না করা খাবার দেয়া হবে।
খুলনার খবর|| দেশের ১৬টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের আগামী জুলাই থেকে দুপুর বেলা রান্না করা খাবার দেয়া হবে। শিশুদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট করা, পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদা পূরণে প্রাথমিকভাবে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলায় চালু করা হবে।গত বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় কর্মশালায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ শীর্ষক চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলে ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় সবাই এটাকে সমর্থন করেছে।তিনি আরও বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিনি চান এটা হোক। আমি প্রধানমন্ত্রীর মন বুঝেই এ কথা বলছি।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়। তবে স্কুল মিলকে পুষ্টিমানের বিবেচনায় বিচার করতে হবে। খাবার শিশুকে শিক্ষায় মনযোগী করতে সাহায্য করবে। আমি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা দু’জনই পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বসতে রাজি।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক বিনিয়োগে লাভ-ক্ষতি থাকে। এ বিনিয়োগে লস নেই। এ বিনিয়োগ সমাজ, পরিবার, ধর্ম, রাষ্ট্র, বিশ্বের জন্য কল্যাণকর। এই শিশুরাই শিক্ষা-দীক্ষায় পরিপূর্ণ হয়ে বেরিয়ে আসবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে প্রতিটি স্কুলে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি করা হলে স্কুলে শিক্ষার্থী ঝরেপড়া বন্ধ হবে ও স্কুলে আসার প্রবণতা বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা যত বড় বাংলাদেশ বানাই, যত সুন্দর বাংলাদেশ বানাই, ভিত্তি দুর্বল করে ফেললে টিকবে না। শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শারীরিকভাবে সুস্থ ও শিক্ষিত করতে এ খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মানচিত্র অনুযায়ী ১৬ জেলা চিহ্নিত করে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয়া আছে।
এখন ৩টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু আছে। এগুলো হচ্ছে- জামালপুরের ইসলামপুর, বরগুনার বামনা ও বান্দরবানের লামা উপজেলা। জাতীয় স্কুল মিল নীতি প্রণয়ন করতে এর আগে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এদিকে খাবারের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে।(একদিন পরপর) ৬ দিনের মধ্যে ৩ দিন রান্না করা খাবার ও ৩ দিন বিস্কুট দেয়া হবে। রান্নার কাজ করা হবে স্থানীয়দের সহায়তায়। প্রতি স্কুলে একজন বাবুর্চি নিয়োগ দেয়া হবে।
শিক্ষার্থী বেশি হলে বাবুর্চির একজন সহকারী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে চলমান বিস্কুট কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীপ্রতি ৮ টাকা করে খরচ হয়। রান্না করা খাবার দেয়া হলে বাজেট ১৮ টাকা হবে। প্রতি খাবারে একজন শিশুর দৈনিক
শক্তি চাহিদার ৩০ শতাংশ এবং পুষ্টি চাহিদার ৫০ শতাংশ স্কুলের খাবারে নিশ্চিত করা হবে। এজন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেয়া হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.